পিবিএ ডেস্ক : এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি পাকিস্তানে হামলা চালানো ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দন বর্তমান। তার ডান চোখে এখনও আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। মেরুদণ্ড ও পাঁজরে চোট রয়েছে। আর মানসিক আঘাত তো রয়েছেই। উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান বিমানবাহিনীর শীর্ষ অফিসারদের জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি দ্রুত ককপিটে ফিরতে চান। ফের সুখোই বা মিরাজের ককপিটে চেপে উড়ে যেতে চান আকাশের পানে।একটি সরকারি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত অভিনন্দনের শরীরে কোনও রকম ‘বাগ’ বা আড়ি পাতার জন্য চিপ-এর সন্ধান মেলেনি। পাকিস্তান এই ধরণের ‘বাগ’ তাদের হাতে বন্দীদের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে সন্দেহ করা হয়। তাই নিয়ম মেনে অভিনন্দনের শরীরে এমআরআই স্ক্যান ও অন্য পরীক্ষা করানো হয়েছে।
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, স্থানীয় পাকিস্তানিদের হাতে পড়ে মারধর খাওয়ার ফলে অভিনন্দনের পাঁজরে চোট লেগেছে। তার মেরুদণ্ডের নিচের অংশেও চোট রয়েছে। অভিনন্দন যে মিগ যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ বিমানের পিছনে ধাওয়া করেছিলেন, তা পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানায় পড়ায় তাকে বিমানের ককপিট থেকে বেরিয়ে পড়তে ‘ইজেক্ট’ করতে হয়। সেই সময় মেরুদণ্ডে চোট লেগে থাকতে পারে বলে চিকিৎসকদের ধারণা। আজ সোমবার ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ ভামরে সেনা হাসপাতালে অভিনন্দনকে দেখতে যান। অভিনন্দন তার সঙ্গে হাসি মুখেই কথা বলেন।
শুত্রবারই ওয়াঘা থেকে ভারতের মাটিতে পা রাখেন অভিনন্দন। অমৃতসর থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসার পর প্রথমে তাকে বিমানবাহিনীর সেন্ট্রাল মেডিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফেরাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিনন্দন দ্রুত ককপিটে ফিরতে চাইলেও, সেনা সূত্রের খবর, আগামী ১০ দিন অভিনন্দনের নানারকম পরীক্ষা ও চিতিৎসা চলবে। অভিনন্দনের উপর পাকিস্তানি সেনা শারীরিক অত্যাচার না চালালেও, মানসিক চাপ তৈরি করেছিল। তাকে জেরাও করা হয়েছিল।আজ কয়েক দফায় গোয়েন্দা, সেনা ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা অভিনন্দনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই ‘ডিব্রিফিং’ প্রক্রিয়ায় তার সঙ্গে পাকিস্তানে কী ধরণের আচরণ করা হয়েছে, তিনি কী বলেছেন, তা জানার চেষ্টা হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি পরিবার ও সহকর্মীদের সামনে কতখানি মুখ খুলবেন, তাকে ভবিষ্যতে কীভাবে চলতে হবে, তা বোঝানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, সুস্থ হয়ে ওঠার পাশাপাশি অভিনন্দনের মানসিকভাবে ধাতস্থ হওয়াও প্রয়োজন।
পিবিএ/জিজি