
ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হলে ভোটার উপস্থিতি বেশি হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ সময় তিনি আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এমন আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমরা যেটা অনুমান করেছি, বাস্তবতার নিরিখে ভোট যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তখন ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে।
সিইসি বলেন, আপনারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দেখেছেন, সেখানে উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল এবং ইভিএমে হয়েছে। ইভিএমে ভোটের ক্ষেত্রে বলা হয় ধীরগতি, সেখানেও উপস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি— আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। সেখানে উপস্থিতি যথার্থ হবে। জেলা পরিষদে আমাদের উপস্থিতি ছিল ৯৯ শতাংশ।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি হয়, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা দায়িত্ব রয়েছে। তাদের সে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ভোট আয়োজন করব। আমরা আপনাদের ব্যালট পেপার সাপ্লাই করব, বক্স সাপ্লাই করব এবং আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক যে সংস্থাগুলো আছে আমরা তাদের স্ট্রিকলি বলে থাকি, আপনারা ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রত্যাশিত আইনশৃঙ্খলা এবং অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। তাই দায়িত্বটি কার? দায়িত্বটি সামগ্রিক সমন্বয়ের। এটা আপনাদের অনুধাবন করতে হবে। এককভাবে এই দায়িত্ব কখনোই নির্বাচন কমিশনের নয়।
দলগুলো কি ভোটের দিকে এগোচ্ছে— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা আগেও বলেছি, তাদের প্রতি আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মধ্যে যদি মত-পার্থক্য থাকে, সেটা আপনারা নিরসন করার চেষ্টা করুন। কারণ নির্বাচন কমিশন মুরুব্বিআনা করতে পারবে না। কিন্তু আমরা বিনীতভাবে সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আপনারা যে কোনো প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন। যাতে এই ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে এক ধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।