
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূমি ৫৭ বছর ধরে ইসরাইলের দখল করার বৈধতা নিয়ে সোমবার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে ঐতিহাসিক শুনানি শুরু হয়েছে। চলবে আগামী এক সপ্তাহ। এ শুনানিতে আজ মঙ্গলবার অংশ নেবে বাংলাদেশ।
মোট ৫২টি দেশ এবং ৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ শুনানিতে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আইসিজের ১৫ বিচারপতি প্যানেলের সব সদস্যের উপস্থিতিতে শুরু হয় এ শুনানি। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকিও এজলাসে হাজির হয়েছেন। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কারো উপস্থিতি দেখা যায়নি। চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
২০২২ সালে গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব বিষয়ক অভিযোগ তদন্তে আইসিজেকে অনুরোধ জানায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। এর ভিত্তিতেই এই শুনানি।
আইসিজের তদন্তে উঠে আসে, ১৯৬৭ সাল থেকেই বিভিন্নভাবে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের সীমানাভুক্ত এলাকা দখল করে আবাসন নির্মাণ করছে ইসরায়েল। সঙ্গে নানা বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ওই দুই অঞ্চলের ফিলিস্তিনিদের চাপে রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে, ২০০৫ সাল থেকে গাজা উপত্যকায় দখলদারিত্ব স্থগিত রাখলেও সীমান্তপথগুলো সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। নির্ধারিত বিকৃতির সত্যতা পাওয়া যায় তদন্তে। এর ভিত্তিতেই শুনানির আহ্বান করা হয়।
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সীমানা নির্ধারণ করেছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু মৌখিকভাবে স্বীকৃতি দিলেও বাস্তবে ইসরায়েল নিয়মিতই তা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।