আজ আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘তথ্যপ্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হোক’।
প্রতিবছর ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশ্ব তথ্য অধিকার দিবস পালন করা হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ পালন করা হচ্ছে।
সারা দেশের মানুষকে তথ্যের অধিকার বিষয়ে আরো সচেতন করতে ঢাকাসহ প্রতিটি জেলায় তথ্য অফিসের সহায়তায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে র্যালি, সমাবেশ, তথ্য অধিকারভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে দিবসটি।
আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে তথ্য কমিশনের উদ্যোগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে বুধবার সকাল ১০টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তথ্যের অবাধ, সঠিক ও সময়োচিত প্রকাশ একদিকে যেমন জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে, অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের সুশাসন নিশ্চিত হবে, জনগণ ও রাষ্ট্রের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক সমুন্নত থাকবে।’
পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তথ্য কমিশন সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় তথ্য অধিকার আইনের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং জনগণের তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাজমান বাধাসমূহ দূর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’
তথ্য কমিশন তথ্যবঞ্চিত জনগণের অভিযোগ আমলে নিয়ে নিয়মিত শুনানির মাধ্যমে তাদের তথ্যপ্রাপ্তিকে নিশ্চিত করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিভিন্ন মাধ্যমে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণ যত তথ্য পাবে, তাদের জীবনমানের তত উন্নয়ন ঘটবে।