আ.লীগের কার্যালয়সহ পৌরমেয়রের গাড়িয়ে আগুন

পিবিএ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগ করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়।

সোমবার (৬ আগস্ট) দুপুরের পরে শহরের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের তান্ডবের ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। মুহূর্তেই উপজেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় উপজেলা আ.লীগের কার্যালয়, আ.লীগ সভাপতি সইদুল হক ও পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ীসহ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এছাড়াও পৌরসভার সরকারি গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া সহ কম্পিউটার ভাংচুর করা হয়।

এদিকে বিএনপি জামায়াতের উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরকে হামলা ভাংচুর ঠেকানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখতে দেখা যায়।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাণীশংকৈল পৌরসভার কার্যালয়ের সামনে পৌরসভার সরকারি গাড়ীটি আগুনে পুড়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পৌরসভার সামনে পড়ে রয়েছে। একইভাবে রাণীশংকৈল উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সইদুল হকের পৌরসভার ভান্ডারা এলাকার বাড়ীটিতে হামলা চালিয়ে বাড়ীর আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, ছাত্রলীগ নেতা তামিম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বাবলু হোসেন, আ’লীগ নেতা তাপস চন্দ্র রায়সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আ’লীগ নেতাকঅর্মীদের বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ভাংচুর চালানোসহ বিভিন্ন সরকারী পুকুরে অবৈধভাবে মাছ তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে উপজেলা পরিষদ,ডিগ্রী কলেজ,মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর মূর‍্যালসহ শহরের ৪টি মূর‍্যাল ভেঙ্গে দেয় জনতা।

আরও পড়ুন...