ইফতারে আনারস কেন খাবেন?

 ইফতারে আনারস কেন খাবেন?

পিবিএ ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাস ধৈর্যের মাস, আত্নশুদ্ধির মাস। সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে চাই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফল হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। আর সেটি যদি হয় আনারস, তাহলে তো কথাই নেই। অসংখ্য গুণে গুণান্বিত এই ফল খেয়ে যেমন শরীরে পানির চাহিদা মেটানো যায়, তেমনি বাড়তি পুষ্টিগুণ পেতেও এর জুড়ি মেলা ভার। চলুন জেনে নিই আনারসের কিছু গুণের কথা-

১. আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া এ ফলটিতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ ও ক্যালোরি রয়েছে। এটি কলস্টেরল ও চর্বিমুক্ত। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ ফলের জুড়ি নেই।

২. আমাদের দেশে সাধারণ সর্দি-কাশিতে আনারস খাওয়ার পরামর্শ দেন না এমন লোক খুব কমই আছেন। বর্ষাকালেই সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর বেশি হয় এবং শুরুতেই আনারসের রস খেলে দ্রুত নিরাময় করা সম্ভব হয়।

৩.আনারসে ব্রোমোলিম নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকায় তা কফ বা মিউকাসকে তরল করে এবং হজমে সহায়তা করে।

৪. গলাব্যথা, সোর থ্রোট, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং ব্রংকাইটিসে আনারসের রস ওষুধের বিকল্প হিসাবে কাজ করে।

৫. আনারসের পাতার রস ক্রিমিনাশক। দু’ চামচ করে প্রতিদিন পাতার রস খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই কৃমির উৎপাত বন্ধ হয়ে যায়। কৃমি দূর করার জন্য খালি পেটে (সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে) আনারস খাওয়া উচিত।

৬. আনারসে রয়েছে এক প্রকার এনজাইম যা প্রদাহনাশক ও মিউকোলহিটিক হিসাবে কাজ করে। বদহজম বা পেট ফাঁপা সমস্যায় আনারসের রসের সাথে সামান্য লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে খেলে আরোগ্য হয়।

৭. আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামি সি, যা ভাইরাস প্রতিরোধ করে এবং গলা থেকে কফ দূর করে। ঠাণ্ডা ইনফেকশন হয়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলেও আনারস খেলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।

৮. আনারসে থাকা খনিজ পদার্থ হাড়কে মজবুত করে। এক কাপ আনারসের রসে পুরো শরীরের খনিজ পদার্থের ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করতে পারে।

৯. দেহের গরম-ঠাণ্ডার জ্বর, জ্বরজ্বর ভাব দূর করে

১০.দাঁতের মাড়ি নিয়ে যারা দুশ্চিন্তগ্রস্ত তারা নিয়মিত আনারস খেলে দাঁতের মাড়ি সুস্থ ও মজবুত হয়।

পিবিএ/আরআই

আরও পড়ুন...