ইরাকের কিরকুক শহরে কুর্দি ও আরবদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ব্যাপক সংঘর্ষের কারণে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই শহরে কারফিউ জারির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সব পক্ষকে সংঘাত প্রতিরোধ এবং কিরকুক প্রশাসনের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আল সুদানি। স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরো ৮ জন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক জিয়াদ খালাফ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, গোলাগুলি, পাথর বা কাঁচের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যও রয়েছেন। কিরকুকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলছে।
কিরকুক থেকে কুর্দির রাজধানী ইরবিল পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধে দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন প্রবীণ কুর্দি নেতা মাসুদ বারজানি। তিনি বলেন, শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।
বারজানি বলেন, এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে নিরাপত্তা বাহিনী অবরোধকারীদের প্রতিরোধ করেনি। কুর্দি তরুণ এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তার ছেলে মাসরুর বারজানি ওই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ইতোমধ্যেই এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। কিরকুকে নির্যাতিত কুর্দি নাগরিকদের সংযম প্রদর্শন এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
২০১৪ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএসআইএল) বিতাড়িত করে কুর্দিশ বাহিনী কিরকুক শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়। কিন্তু ২০১৭ সালে ইরাকি সেনাবাহিনী শহরটিকে বাগদাদের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনে।