মমিনুল ইসলাম বাবু কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর বামনাছড়া আকন্দ পাড়া এলাকায় জমাজমির বিরোধকে কেন্দ্র করে বাড়ী লুটসহ মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে ইসমোতারা বেগমের বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে এ ঘটনা ঘটায় দুর্বত্তরা। বাড়ীঘর লুট করাসহ অর্ধলক্ষ টাকা লুটপাট করেছে। আনোয়ার হোসেন ও হেলাল উদ্দিন গুরুতর আহত হয়ে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
জানা যায়, উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের বামনাছড়া আকন্দ পাড়া এলাকায় সৈয়দ আলীর সাথে হেলাল উদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বসতবাড়ীর ৩৪ শতাংশ জমাজমির বিরোধ চলে আসছিল। এরই একপর্যায়ে বুধবার বিকেলে হেলাল উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা বাড়ীতে না থাকায় প্রতিপক্ষ সৈয়দ আলীর নেতত্বে ২২জন পুরুষ মহিলা নিয়ে দা, কুড়াল, লাঠি ফালা, লোহার বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ীর সীমানা ভাঙচুর করে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফেলে এবং বাড়ীর লাগানো গাছপালা কেটে নিয়ে যায়। এছাড়াও ফাঁকা বাড়ী পেয়ে পুকুরের মাছ উত্তোলন করে নেয়।
পরে খবর পেয়ে হেলাল উদ্দিনের পুত্রবধু ইসমোতারা বেগম বাড়ীতে আসে এবং তাৎক্ষনিকভাবে তার শশুড় ও স্বামীকে খবর দিলে তারা বাড়ীতে আসে এবং প্রতিপক্ষকে বাঁধা নিষেধ করেন। এতে প্রতিপক্ষ সৈয়দ আলীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ সৈয়দ আলী ক্ষিপ্ত হয়ে হেলাল উদ্দিনের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে হেলাল উদ্দিন গুরুতর জখম হয়। পিতার উপর হামলা দেখে পুত্র আনোয়ার হোসেন এগিয়ে আসলে তার উপরে হামলা চালায়।
পুত্র বধু ইসমোতারা এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের মহিলারা তার পড়নের কাপড় ও মাথার চুল ধরে টেনে হেছড়ে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে এলাকাবাসী নুরুল আমিন ও মতিয়ার রহমান আহতদের উদ্ধার করে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে উলিপুর থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে এসআই হাসান ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পিবিএ/বিএইচ