ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুণ অর রশীদ বলেছেন, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবুল হাসানকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা কোন ধরণের হয়রানি নয়। আমরা শুধুমাত্র অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই। আর একমাস পর নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মসুচি পালন করছে। করবে। তাই সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, কিছুদিন আগে গুলশান ডিভিশন নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ছাত্রদলের ৬ নেতাকে গ্রেফতার করে। তারই ধারাবাহিকতায় কলাবাগান থানা এলাকা থেকে হাসানকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ছাত্রদলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা এখন পর্যন্ত ১১ টি অস্ত্র এনেছে। এর মধ্যে ৪টি উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের এই অস্ত্র আনার পেছনের মোটিভ জানতে পেরেছি। প্রমাণ পেয়েছি। দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারাসহ কে কে জড়িত সেটিও জানা গেছে।
ডিবি প্রধান জানান, অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের কথপোকথন এবং অস্ত্র কোথায় ব্যবহার হবে তার বিস্তারিত আমরা পেয়েছি। তারা নির্ধারিত মডেলের অস্ত্র পছন্দ করে অর্ডার করে আনিয়েছে। কক্সবাজার, টেকনাফ, পাবনা এবং দেশের অন্যান্য সিমান্ত এলাকা থেকে এই অস্ত্রগুলো এসেছে। তাদের মধ্যকার মোবাইলের কথপোকথন থেকে মাসুম নামের একজনের পরিচয় পাওয়া যায়। কল রেকর্ডে আরও শোনা যায়, তিনি জিসানকে বলছেন, তারা এই অস্ত্রগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হল দখলে ব্যবহার করবেন।
রাজনৈতিক এবং চলচ্চিত্র অঙ্গনের ব্যক্তিত্বদের আপ্যায়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সাধারণ মানবিক কার্টেসি। দুপুরের সময় আসলে সাধারণত একজনকে নিয়ে খাবার খাওয়াটা অন্য কোন অর্থ বহন করে না।