পিবিএ,ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ আহসান বিনাবিচারে এবং একতরফা সিদ্ধান্তে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পিআরও মোঃ শাহ আলমকে বিনা অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য করেছেন। রোববার বিকাল ৩টার দিকে ম্যাজিস্রেটসহ তার লোকজন বাসায় গিয়ে অসুস্থ শাহ আলমকে এই জরিমানার কথা জানান এবং অনাদায়ে কারাবাসের হুমকি দেন। ফলে তিনি মান-ইজ্জতের ভয়ে জরিমানা দিতে বাধ্য হন।
উল্লেখ্য যে, বেশ কিছুদিন থেকে তার ৪/১০ (নিচতলা) সরকারি বাসার রাস্তাসংলগ্ন গ্যারেজে পাশের ৪/১১ নং বহুতল ভবনের সুয়ারেজ লাইনের পানি ঢুকছিল এবং একই বিল্ডিংয়ের আরেকজন সরকারি অফিসারসহ জনাব শাহ আলম ৪/১১ নং বহুতল ভবনের সেক্রেটারি তারিক হাসান কাজলের (যিনি ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারিও) কাছে ১মাস যাবত বারবার তার গ্যারেজে ময়লাপানি ঢোকাবন্ধের জন্য অনুরোধ করলেও তিনি আমলে নেননি। তারিক হাসান কাজল মোহাম্মদপুর ৩২ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় অসহায় শাহ আলমকে তার অপরাধের দায়ে ২০ হাজার জরিমানা দিতে বাধ্য হলেন।
মৎস্য প্রতিমন্ত্রীর পিআরও ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদকে পাশের বিল্ডিংয়ের সুয়ারেজ লাইনের প্রবাহমান পানি তার বাসার গ্যারেজে ঢোকার কথা জানিয়ে প্রকৃত অপরাধীকে ধরার অনুরোধ জানালে তিনি তার কথা শুনতেই চাননি। এমনকি তিনি পাশের বিল্ডিংয়ের অপরাধের দায় তার ওপর চাপিয়ে জরিমানা না করতে অনুরোধ জানালেও ম্যাজিস্ট্রেট তাকে আত্মপক্ষসমর্থন করতে সুযোগ না দিয়ে বলেন, আপনার গ্যারেজে ময়লা পানির পেয়েছি, এটাই অপরাধ। তার সাথে থাকা লোকজন তাকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টাসহ দুর্ব্যবহারও করেন।
জনাব শাহ আলম জানান, তার গ্যারেজে এডিস মশার লার্ভা না পাওয়া গেলেও পাশের বাসার ময়লা পানির দায়ে তাকে জরিমানা করা অন্যায় এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তিনি ম্যাজিস্ট্রেটকে এও জানান যে, পাশের বিল্ডিংয়ের ময়লাপানি বন্ধের পদক্ষেপ না নিলে আমি কি তবে আওয়ামীল লীগ নেতার সাথে মারামারি করতে যাবো? জবাবে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ময়লাপানি বন্ধ করতে হলে প্রয়োজনে তা-ই করেবেন।
পিবিএ/এমএসএম