পিবিএ,কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই সহোদরসহ তিন ডাকাত নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও দেশি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গাজীপাড়ার পশ্চিমে পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, পরিদর্শক লিয়াতক আলী, এসআই মশিউর রহমান, এএসআই সনজিব দত্ত, সৈকত বড়ুয়া, মিথুন ভৌমিক।
নিহতরা হলেন, রঙ্গিখালী জুম্মা পাড়ার মৃত আব্দুল মজিদ ওরফে ভুলাইয়্যা বৈদ্য ছেলে নুরুল আলম (৩৭), সহোদর ছৈয়দ আলম (৩৬) ও একই এলাকার সব্বির আহাম্মদের ছেলে মোঃ মনাইয়া (২২)।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরই নেতৃত্বে একদল পুলিশ রঙ্গিখালী গাজীপাড়া পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশে একদল ডাকাত অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা গুলি চালায়। এতে পুলিশের ৪কর্মকর্তাসহ৫জন আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে কৌশলে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে৫টি দেশী তৈরি একনলা বন্দুক, ১০টি দেশী তৈরি এলজি, ২টি থ্রি কোয়াটার বন্দুক, ১টি বিদেশি পিস্তল, ১১ রাউন্ড রাইফেল এর গুলি, ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২০৫ রাউন্ড কার্তুজ, ৭২ রাউন্ড কার্তুজের খালি খোস, ৫৬ হাজার ইয়াবা, তিন সেট বিজিবি ও ১০সেট পুলিশ পোশাকসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছৈয়দ আলম, নুরুল আলম ও মোঃ মনাইয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসকরা তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
পিবিএ/বিএইচ