করোনা প্রভাব, ভুতুরে শহর পটুয়াখালী

পিবিএ,পটুয়াখালী: করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ প্রান হানির অশনি সংকেতে মানুষ ঘরবন্ধী হওয়ায় পটুয়াখালী জেলা শহর এখন ভুতুরে শহরে পরিনত হয়েছে। মানুষ এখন সতর্ক হওয়ায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ অনেকটা সম্ভব হচ্ছে এমনটাই ধারনা করছেন সচেতন মহল। আশার কথা পটুয়াখালী জেলায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শুক্রবার) করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খবর না পাওয়া গেলেও মানুষ স্বস্তিতে নেই। করোনা ভাইরাস প্রভাবে বিদেশ, ঢাকা, চট্রগ্রাম বিভাগ ও বড় বড় শহর থেকে হাজার হাজার মানুষ পটুয়াখালীতে আগমন ঘটায় মানুষ করোনা আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।

এ কারনেই মানুষ স্ব-ইচ্ছায়, স্ব-উদ্যোগে ছেলে-মেয়ে, পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না। বলতে গেলে জেলার প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসন ২৬ মার্চ হতে ১০ দিন পর্যন্ত কাঁচা বাজার, ফার্মেসী, মুদী দোকান ব্যতিত সকল ধরনের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষনায় সকল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত বন্ধ রয়েছে। শহরের রাস্তাঘাট অফিসপাড়া জনশূন্য। শহরের প্রধান মসজিদগুলোতে মুসল্লী উপস্থিত কম।

পটুয়াখালীর প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং করনীয় বিষয়াদির ব্যাপারে সার্বক্ষনিক নজরদারী করছেন। জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী এর নির্দেশনায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জিএম সরফরাজ ও জেলা স্যানিটারী ইন্সেপেক্টর মহিউদ্দিন আল মাসুদের সমন্বয়ে বাজার মনিটরিং চলছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম এর নির্দেশনায় বিদেশ ফেরত মানুষের অনুসন্ধান এবং চিহ্নিত প্রবাসীদেরকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখার এবং তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সরবরাহ করে যাচ্ছেন।

পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ পৌর শহরকে দূষনমুক্ত করার জন্য সড়ক সমূহসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে জীবানুনাশক পানি স্প্রে করেছেন। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার ও সদর ইউএনও লতিফা জান্নাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনগনকে সচেতনতার পাশাপাশি অক্ষম দরিদ্র শ্রেনীর মানুষের মাঝে মাস্ক ও খাদ্য দ্রব্য সরবরাহ করছেন।

পিবিএ/সুনান বিন মাহাবুব/বিএইচ

আরও পড়ুন...