পিবিএ,খুলনা: খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রার কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মিত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটি (সাইক্লোন শেল্টার) দীর্ঘ দিন ধরে দখল করে আছেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ অদ্রীস কুমার মন্ডল। তিনি তার পরিবার নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রের দোতালায় বসবাস করছেন। অভিযোগ রয়েছে, আশ্রয় কেন্দ্রটির তিন তলার দুটি কক্ষও তিনি মনোজিত কুমার নামে কলেজের অপর এক শিক্ষককে ভাড়া দিয়েছেন। এছাড়া অন্য একটি কক্ষে কলেজের তিন জন ছাত্রীকে থাকতে দিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় ফণির সতর্ক বার্তা পাওয়ার পর স্থানীয় মানুষ ওই আশ্রয় কেন্দ্রটিতে তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল রাখতে চাইলে তিনি তাদেরকে সেখানে ঢুকতে দেননি। শুক্রবার সকালে কয়রা উপজেলার সদরের পাশে মদিনাবাদ গ্রামের শহিল্যাহ গাজীসহ প্রায় ১৫টি পরিবার সেখানে আশ্রয় নিতে গিয়ে ফিরে এসেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষ অদ্রীস কুমার মন্ডল বলেন, ‘ভবনটি খালি পড়ে থাকে। এ জন্য সেখানে কলেজের কিছু ছাত্রীকে থাকতে দিয়েছি। সেই সাথে আমিও পরিবার নিয়ে থাকি।’ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র দখল করে এভাবে থাকার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জরুরী প্রয়োজনে লোকজন এখানে আশ্রয় নিতে পারবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একজন শিক্ষক বলেন, সাইক্লোন শেল্টারটি নির্মাণের পরেই অধ্যক্ষ সেটি নিজের বাস ভবন হিসেবে ব্যবহার করছেন। সেখানকার বিদ্যুৎ বিলও কলেজ ফান্ডের থেকে পরিশোধ করতে হচ্ছে। কয়রা সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমুস সাদ’ত বলেন, সতর্ক সংকেত পেয়ে ওই আশ্রয় কেন্দ্রটি অধ্যক্ষকে খালি করে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি তা করেননি।
কয়রা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা জানিয়েছেন, এ মুহুর্তে তিনি তার মালামাল সরিয়ে একটি কক্ষে নিয়েছেন। অন্য কক্ষগুলি খালি করার চেষ্টা করছেন। দুর্যোগকালিন সময়ের পর তাকে ওই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ হেলাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র দখল করা অপরাধ। ওই অধ্যক্ষ নির্দেশ পাওয়ার পর সেটি খালি না করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিবিএ/এইচআর/আরআই