পিবিএ: বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও তার স্ত্রী কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। গত ৪ জুলাই কানাডায় প্রবেশ করে তারা শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন।
কানাডার টরন্টো থেকে প্রকাশিত পত্রিকা কোরিয়েরে কানাদিজ (দ্য কানাডিয়ান কুরিয়ার) এ খবর দিয়েছে। এর আগে এস কে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেও তার স্ত্রী সুষমা সে আবেদন করেননি।
কানাডিয়ান কুরিয়ারের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ভারতীয় উপমহাদেশের এক উত্তাল সময়ে বেড়ে উঠেছেন। সেখানে তিনি যেমন দেখেছেন বিদেশি দখলদারি; তেমনি দেখেছেন স্থানীয়, জাতিগত ও ধর্মীয় বিভেদ।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোর বর্ণনা দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এখনো অতটা পরিপক্ব নয় বিধায় আইনসভা, নির্বাহী ও বিচার বিভাগ এখনো পুরোপুরি পৃথক হতে পারেনি।
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি এস কে সিনহা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে প্রথম প্রধান বিচারপতি হন উল্লেখ করে ঢাকার দু’টি পত্রিকার বরাত দিয়ে বলা হয়, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এস কে সিনহার গ্রামের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা হয়।
কানাডিয়ান কুরিয়ারের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আপিল বিভাগে পদোন্নতি পাওয়ার পর থেকেই সরকারের বিভিন্ন শাখার পূর্ণাঙ্গ পৃথকীকরণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের শাসন প্রয়োগ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন এস কে সিনহা। এর পর থেকেই তিনি সরকারের রোষানলে পড়েন। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এস কে সিনহার সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অপসারণে পার্লামেন্টের ক্ষমতা বাতিল করা হয়। এরপর সরকারপক্ষ থেকে সিনহার বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু হলে একপর্যায়ে তিনি ছুটিতে যান। ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর সিনহা বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র দাখিল করেন।
বাংলাদেশ থেকে প্রথমে সিঙ্গাপুরে যান সিনহা। এরপর অস্ট্রেলিয়া হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি।
পিবিএ/ইকে