পিবিএ,কুষ্টিয়: রত্নভার কুষ্টিয়ার অমূল্য এক রতনের নাম গগণ হরকরা। ডাকঘরের সামান্য কর্মচারী হয়েও দৃষ্টি কাড়তে পেরেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। শুধু দৃষ্টি আকর্ষণই নয়, প্রভাবিতও করেছিলেন কবিগুকে। সান্নিধ্য পেয়েছিলেন মহামতি লালন সাঁইজির। সেই মহান ব্যক্তিত্ব গগণ হরকরার একটি ভাস্কর্য স্থাপিত হলো কুষ্টিয়া শহরের নিশান মোড়ে। কালজয়ী এই মানুষের ভাস্কর্য স্থাপনকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন স্থানীয়রা।

গগন হরকরা কাছ থেকে গানের দীক্ষা নিয়েছিলেন তা জানা সম্ভব হয়নি, তবে গগন লালনের গানের খুব ভক্ত ছিলেন। লালনও গগনের গান এবং গগনের সান্নিধ্য খুব পছন্দ করতেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গগনের কাছে গগন ও লালনের গান শুনতেন। গগনের গান ‘আমি কোথায় পাব তারের’ সুরে প্রভাবিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশ এর জাতীয় সংগীত লিখেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডাকঘর নাটকটি গগন হরকরার জীবন থেকে প্রভাবিত হয়ে লিখেছিলেন নাটকের গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর চরিত্রটি তা প্রমান করে। গগন হরকরা আনুমানিক ১৮৪৫ খ্রিঃ শিলাইদহের কসবা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতা-মাতা সম্বন্ধে তেমন কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি তবে তার একটি ছেলের নাম কিরণ চন্দ্র ছিল বলে জানা যায়। গগন প্রথমে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন পাশাপাশি তত্কালীন শিলাইদহের ডাক ঘরের ডাক হরকরা’র চাকুরী করতেন।
পিবিএ/কেএসএস/আরআই