কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া গড়াই নদের পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ধ্বংস হলো মাদকের আড্ডা

পিবিএ,কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কিশোর লালচাঁদ হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে জাহেদ ইবনে শহীদ ওরফে রানা এবং ঝিনাইদহ শৈলকুপার গোলাম মোস্তফার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সজীব।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহেদ ইবনে শহীদ ওরফে রানার সহোদর সোহেল আহম্মেদ ওরফে সোহেল, চৌড়হাস কলোনির বাসিন্দা কাইয়ুম বিহারীর ছেলে সোহেল রানা ওরফে হেলপার সোহেল, নাজিম উদ্দিনের ছেলে শাহিন উদ্দিন ওরফে লম্বা শাহিন, মঞ্জিল হোসেনের ছেলে জনি, আমিরুল ইসলাম মিস্ত্রির ছেলে রিপন ওরফে মেঘা এবং নিজাম উদ্দিনের ছেলে সুমিন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ০৩ মার্চ সন্ধ্যায় এজাহারকারী নুর ইসলামের ছেলে লালচাঁদকে (১১) আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত কিশোর লালচাঁদের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।তদন্ত শেষে ৮ জন আসামির সংশ্লিষ্টতা উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে দ:বি: ৩০২ ও ৩০২/৩৪ অভিযোগ এনে ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের চার্জ গঠন পূর্বক শুনানি শেষে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় আসামিদের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ধার্যকৃত প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা পরিশোধ না করলে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের ধার্যকৃত প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ মামলায় আসামিপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...