পিবিএ, ঢাকা : আমাদের মিডিয়ার সাহসী মুখ সোনিয়া খান। সাহসী মুখ বলার কারণ তার ফটোশুট ইতিমধ্যেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মিডিয়ায় কাজ করার ক্ষেত্রে তার প্রস্তুতি আন্তর্জাতিক মানেরই বলা যায়। নিজেকে তিনি তৈরী করেছেন সূচারুরূপে। মূলত ২০১৫ সালেই মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু পিারিবারিক ব্যস্ততাসহ নানা কারণে তখন পুরোপুরি মিডিয়ার কাজে যুক্ত হতে পারেননি। সেসব ঝামেলা চুকিয়ে এবার তিনি পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি বিজ্ঞাপনচিত্র, ওয়েব সিরিজ এবং কিছু মিউজিক ভিডিওর কাজ করেছেন।
মিডিয়াতে কাজ করতে গেলে নতুনদের ‘গিভ এন্ড টেক’ বিষয়টার মুখোমুখি হতে হয় বলে শোনা যায়। এক্ষেত্রে সে রকম কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে সোনিয়া বলেন, ‘নাহ, আমার সে রকম কোন আপত্তিকর প্রস্তাব শুনতে হয়নি। আসলে আপনার ভেতর কোয়ালিটি থাকলে মানুষ সেটাই পেতে চাইবে। আর আপনি যদি শরীর সর্বস্ব হন, তবে সেটাই সবাই এগিয়ে রাখবে। নতুনদের উচিত নিজেকে তৈরী করে আসা। তাহলে তাদের আর এসব অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে না বলেই বিশ্বাস করি।’
ফিল্মে কাজ করার ক্ষেত্রে আপনার প্রস্তুতি এবং টার্গেট কি, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বলিউডের সব অভিনেত্রীই কিন্তু দারুণ নাচতে পারেন। ভাল নাচতে পারাটা সেখানে অনেক বড় যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়। আমিও নাচ শিখেছি। ২০১৫ সালে যখন শুরু করি তখন নাচই করতাম। তাই বড় পর্দায় আমার ছন্দময় উপস্থিতি দেখতে পাবেন দর্শকরা। আর টার্গেট হলো ২০২০ সালে ফিল্মে কাজ করবো। কাউকে টপকে যাবো এমন কোন চিন্তা নেই। নিজের স্বকীয়তা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমার মাঝে ভাল কিছু পেলে দর্শকরা অবশ্যই আমাকে সবার থেকে আলাদা করে কাছে টানবেন।’
পর্দায় কতোটা সাহসী হতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নিঃসন্দেহে সাহসী। আমার ফটোশুটে সেটা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছি। কিন্তু আমার এই সাহস যেখানে সেখানে কাজে লাগাতে চাই না। গল্পের প্রয়োজনে যতটুকু সাহসী হতে হবে ততোটাই সাহসী হবো। এমনকি গল্পের প্রয়োজনে যেকোন পোষাক পরতে রাজি আছি। কিন্তু অহেতুক সাহসী হতে পারবো না। কারণ তাহলে সেটা আর আর্ট থাকবে না, ভালগার হয়ে যাবে।’
পিবিএ/জিজি