গৌরনদীতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু

পিবিএ,বরিশাল : মঙ্গলবার রাতে বরিশালের গৌরনদীতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত আলেয়া বেগম (৬১) নামের এক নারী মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আরো একজন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে চিকিৎকরা বলছেন এ ঘটনায় আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।

জানাগেছে, উপজেলা সদরের আশোকাঠী গ্রামের মোহাম্মদ ফকিরের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৬১) রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও চৌধুরী পাড়া এলাকায় তার বড় মেয়ের বাসায় ১৫ দিন বেড়ানোর পর গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে ফিরে আসেন। ওই দিন রাতে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন।

পরদিন শুক্রবার তিনি স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের এক চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেন। এতে সুস্থ্য না হয়ে দিন দিন তার অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। ফলে রোগীর স্বজনরা মঙ্গলবার বিকেলে তাকে নিয়ে উপজেলা সদরের ডাক্তার শুকদেব কুন্ড’র কাছে যান। ডাক্তার শুকদেব কুন্ড রোগীর অবস্থা দেখে তার ডেঙ্গুজ্বর হয়েছে বলে সন্দেহ করেন।

এরপর তিনি রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে আনার জন্য তার স্বজনদেরকে পরামর্শ দেন। মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর রোগীর স্বজনরা তাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রক্ত পরীক্ষা করান, এতে তার ডেঙ্গুজ্বর ধরা পড়ে। এরপর স্বজনরা তাকে নিয়ে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ২য় তলা থেকে নিচে নেমে আসার সাথে সাথে অসুস্থ্য আলেয়া বেগম ঢলে পড়ে যান।

তখন স্বজনরা সেখান থেকে তাকে দ্রুত একটি অটোতে তুলে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার অব ডিজিজ কনট্রোল (এমওডিসি) ডাঃ মাহাবুব আলম মির্জা রাত পৌনে ৯টার দিকে তাকে মৃত বলে ষোষণা করেন। অপর দিকে রাতেই লোকমুখে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর খবর জানানানি হলে এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার অব ডিজিজ কনট্রোল (এমওডিসি) ডাঃ মাহাবুব আলম মির্জা জানান, গতকাল বুধবার সকালে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে মোঃ জাহিদুল সরদার (৩০) নামে নতুন করে আরো একজন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার নলচিড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মোঃ রতন সরদারের ছেলে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়নাল আবেদীন তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন।

ডেঙ্গু নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংকের ব্যাপারে ডাঃ মাহাবুব আলম মির্জা বলেন, এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। এ এলাকার কিছু লোক প্রায়ই ঢাকায় যাতায়াত করে থাকেন। তাদের মধ্যে দু’একজন এ রোগ বহন করে নিয়ে আসছেন। আমরা সর্বদা সতর্ক আছি। এলাকাবাসীর প্রতি পরামর্শ হল, আপনারা আপনাদের চার-পাশের পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন, তা হলে এলাকায় এ রোগের বিস্তার ঘটবে না।

পিবিএ/খোন্দকার মনিরুজ্জামান মনির/ ইকে

আরও পড়ুন...