বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা পৃথক মামলায় রাজধানী থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ছাত্রলীগ নেতা হলেন মাসুদ আলী ওরফে কালা মাসুদ। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের উত্তরা ১নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি। আর যুবলীগ নেতা হলেন জাকির হোসেন। তিনি খিলগাঁও ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
রাজধানীর উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পাঁচ হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ আলী ওরফে কালা মাসুদকে রবিবার (৩ নভেম্বর) ভোরে তুরাগের আহালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
রবিবার (৩ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানায়, গ্রেফতার মাসুদ আলী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আলমগীর হোসেন হত্যাসহ উত্তরা পশ্চিম থানার পাঁচটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলাগুলোর তদন্তকালের তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। ফলে রোববার ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় তিনটি মাদক মামলাও রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বনশ্রীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মো. আশিকুল ইসলাম (১৪) হত্যা মামলায় জাকির হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ। তিনি খিলগাঁও ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার (২ নভেম্বর) গভীর রাতে খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে বনশ্রী জি ব্লকের ১নং রোডে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা কোটা সংস্কারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। ওইদিন নিহত আশিক তার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আক্রমণকারীরা ককটেল বিস্ফোরণসহ এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করলে আশিক কানে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এ ঘটনায় তার মা আলিশা আফরোজ বাদী হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় জাকির হোসেনকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।