
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থেকে মোজাফ্ফরকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
দগ্ধ মোজাফ্ফরেরর চাচাতো ভাই মোঃ ইমাদ উদ্দিন জানান, মোজাফ্ফরকে লালবাগের ৭ নং আতশখানা লেনের বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আগামী মাসের ২ তারিখ আবার তাকে বার্ন ইউনিটে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মোজাফ্ফরের বাবার নাম মৃত ওবায়েশ উদ্দিন। স্ত্রী রেনু আক্তার। চকবাজারে একটি ভ্যারাইটিজ স্টোরে চাকরী করতেন তিনি। ঘটনার ওই রাতে চুড়িহাট্টা দিয়েই বাসায় ফিরছিলেন তিনি। চুড়িহাট্টা পাড় হয়ে কিছুদূর চলে আসলেও তিনি আবার চুড়িহাট্টার হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনের পাশের একটি হোটেলে যাচ্ছিলেন কিছু খাওয়ার জন্য। তবে হোটেলে যাওয়ার আগেই তিনি বিস্ফোরণে দগ্ধ হন।
মোজাফ্ফরকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় স্বজনরা স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।
এবিষয়ে ঢামেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মোজাফ্ফরের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ ছিলো। এখন তার শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকে। তাই তাকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাকে আবার ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আসতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এরআগে গতকাল ১৬ শতাংশ দগ্ধ হেলাল উদ্দিন (১৮) ও ১০ শতাংশ দগ্ধ হাজী মোঃ সালাউদ্দিনকে (৪৫) ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি সেলিম ব্যাপারী (৪৫) ও শেখ মাহমুদের (৪০) অবস্থাও ভালোর দিকে। তাদের দুজনের ১৪ ও ১৩ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে। দু একদিনের মধ্যে তাদেরকেও ছেড়ে দেয়া হবে।
তবে বাকি ২ জন মেহেদী হাসান রেজাউলের (২২) ৫১ শতাংশ ও জাকির হোসেনের (৪৫) ৩৮ শতাংশ দগ্ধ। তাদের ২ জনের অবস্থাই অাশঙ্কাজনক। তাদেরকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
পিবিএ/এইচএ/জেডআই