পিবিএ,মেজবাহুল হিমেল,রংপুর: কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, জঙ্গিবাদ দেশের শ্রত্রু, দেশের অর্থনৈতিক শ্রত্রু, সবকিছুর শ্রত্রু, মানবতার শ্রত্রু। এইটাকে ঠেকাইতে হলে সবাইকে কাজ করতে হবে। এদেশের মানুষ কখনই উগ্রবাদ জঙ্গিবাদকে সামর্থন করবে না। এদেশের জঙ্গিরা আইএসের মতাদর্শে পরিচালিত। কিন্তু আইএসের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না তারা। কোনো কানেকশন নেই এদের।
রোববার রাতে রংপুর পুলিশ লাইনসে স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকারের সভাপতিত্বেতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ ও রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম প্রমুখ।
হলি আর্টিজানে হামলার পর আমাদের আর্থিক অগ্রযাত্রায় বাধা তৈরি হয়েছিল উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা সেই সংকট কাটিয়ে উঠছি। সহিংস উগ্রবাদ রুখতে হলে আমাদের ঘর থেকে সচেতনতা তৈরি করে এ প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে। একদিনে কেউ সহিংস হয়ে উঠে না। আমাদের সন্তানের হঠাৎ পরিবর্তনগুলো খতিয়ে দেখা দরকার, তাদের গতিবিধি খেয়াল করা দরকার। সহিংস হয়ে উঠার আগেই রুখতে পারলে জঙ্গিবাদ থেকে আমরা রক্ষা পাব। সেই সঙ্গে সমাজের সচেতন মানুষকে আরও সচেতন থাকতে হবে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় অনেক সক্রিয় জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সচেতন থেকে সংবাদ প্রচার করা দরকার। কেননা এমন কোনো সংবাদ প্রচার করা উচিত নয় যাতে সহিংসতাকারী হিরো বনে যায়।
২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস বীরোধী আইন পাশ করেন। এই আইনটি ২০১৩ সালে আরো শক্তিশালী করা হয়েছে। এদেশে প্রায় ১০ কোটি মানুষ ইন্টানেট ব্যবহার করেন যেটা ২০০৮ সালে প্রায় ৬ লক্ষ বা ৮ লক্ষ ব্যবহার করি ছিলো। এই ইন্টানেট ব্যবহার কারির মধ্যে সোসাল মিডিয়া যারা ফ্রেজবুক ও ইউটিব ব্যবহার করে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যারা খারাপ কাজ করে এদেরকে চিনিত করতে হবে। কোন খবর ইন্টানেটে দেখলে জাছাই বাছাই করতে হবে।
তিনি বলেন, জামায়াত ও জঙ্গিদের লক্ষ্য এক। কিন্তু লক্ষ্য পূরণে পদ্ধতি ভিন্ন। জঙ্গিবাদ নির্মূলে সব রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত এবং তা নির্মূলে কাজ করা প্রয়োজন।
পিবিএ/বিএইচ