পিবিএ,ঝিনাইদহ: একদিকে মহামারি করোনা ভাইরাস, অন্যদিকে শ্রমিক সঙ্কট, তার ওপর শুক্রবার রাতে দুই-আড়াই ঘণ্টা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কয়েকশ’ একর’বোরো ধান। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ধানের সাথে কৃষকের সারা বছরের স্বপ্ন। আর ভারী বৃষ্টিপাতে তলিয়ে যাওয়া মাঠের পাকা ধান নিয়ে কঠিন বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, মহেশপুর উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১৭৪৮৫ হেক্টর জমিতে। তেমনি ভাবে ফলনও ভালো হয়েছে। বোরো ধান কেটে বাড়ি আনতে কৃষকের তিনগুণ পরিশ্রমের পরও সোনালী ফসল ঘরে তুলতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । গতকাল শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে বৃষ্টির কারণে মাঠে কেটে রাখা ধান গেছে তলিয়ে। যার ফলে ভিজে ধান ঘরে তোলা, ধান মাড়াই করে শুকাতে গিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।
চোখের সামনেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কষ্টে উৎপাদিত শত শত একর জমির ধান। মহেশপুর উপজেলার নেপা গ্রামের কৃষক মোসলেম হোসেন, মিজানুর রহমান এবং ভৈরবা গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই, পৌর এলাকার বগা গ্রামের কৃষক ইসানুর ইসলাম তারা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তারা সবাই ২ থেকে ৩ বিঘা করে জমির ধান কেটেছেন। কিন্তু শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে সব ধান পানির নিচে। এখন ধান বাঁচানোর জন্য বিচালি রেখেই ধান তুলতে হচ্ছে।
তারা জানান, এমনিতেই বাজারেও ধানের দাম কম তার পর বিচালীর বাবদ বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা লোকসান হবে। এ অবস্থায় সঠিক সময়ে ধান শুকিয়ে ঘরে না তুলতে পারলে ওই ধান গবাদি পশুকে খাওয়ানো ছাড়া আর কোনো কাজে আসবে না বলে জানান অনেক কৃষক।
মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাছান আলী জানান, উপজেলায় প্রায় ৫০% ধান কাটা হয়েছে। প্রাকৃতিক সমস্যায় আমাদের কারও কিছুই করার নেই। বৃষ্টিতে যে সমস্ত বোরো ক্ষেত তলিয়ে গেছে সে সমস্ত ক্ষেতের আইল কেটে দ্রুত পানি বের করে দিতে হবে। এবং যতদ্রুত সম্ভব বিচালি রেখেই ধান তুলতে হবে।
পিবিএ/বিএইচ