ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিশু-শিক্ষার্থীরাসহ এলাকাবাসীর যাতায়াত

পিবিএ,আবুবকর সিদ্দিক,জয়পুরহাট: আমাদেও ছোট নদী চলে বাকে বাকে বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে, এখন বৈশাখ আসেনি তবুও ছোট নদীতে হাটু পানি আছে। এই হাটু পানি থাকাতে স্কুলের ছেলে মেয়েরা বাশের সাকো পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। বর্ষাকালে এই নদী হয়ে যায় পানিতে ভরপুর, প্রচন্ড স্রোত, এই স্রোতের মাঝেই জীবনের ঝুকি নিয়ে স্কুলে যেতে হয় কোমলমতি শিশুদের।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে সরেজজমিনে দেখা যায় এই অবস্থা।। এক তীরে স্কুল আর অপর তীরে বিভিন্ন গ্রাম। গ্রামগুলো থেকে আসে শত শত শিক্ষার্থী, মাঝ খানে নদী বয়ে গেলেও সেখানে ৫০ বছর যাবত কোন সাঁকো বা ব্রীজ না থাকায় পায়ের নিচে একটি বাঁশে ভর করে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয় কোমলমতি শিশুদের। একই কারনে উপস্থিতি কম বলে লেখাপড়ায় ব্যাঘাত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জয়পুরহাটে যোগাযোগ ব্যবস্থা কখনো ভালো আবার কখনো মোটামুটি চললেও যাতায়াত বন্ধ হয়নি কখনো। কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা নেই বললেই চলে একটি স্কুল শিক্ষার্থীদের। ১৯৭০ সালে স্থাপিত হয় জয়পুরহাট সদর উপজেলার মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তুলশীগঙ্গা নদীর কোল ঘেঁষে পূর্ব তীরে রয়েছে স্কুলটি আর পশ্চিম দিকের ৪/৫টি গ্রাম থেকে আসে বিভিন্ন শ্রেনিতে অধ্যয়নরত প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী। কেমলমতি শিশুদের নদী পাড় হতে হয় একটি বাঁশে ভর করে। এ ব্যাপারে অনেকে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ, তদবির আর অনুরোধ করেও কোন ফল হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষথীদের।

ব্রীজ ছাড়া নদী পারাপারের এমন দূর্ভোগ নিয়ে পঞ্চাশ বছর ধরে ভুগছে এই বিদ্যালয়টির কচি-কাচারা । আর পাশাবর্তী ৫/৭টি গ্রামের সর্ব সাধারনদের যাতায়াত বিড়ম্বনা চলছে বংশ পরম্পরায় । তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনয়ের সাথে ব্রীজ নির্মানের আবেদন জানান শিক্ষকরা। এ ব্যাপারে বাস্তবতা স্বীকার করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতেও মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে বলে দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।একটি ফুট ওভার ব্রীজ হলেও যাতায়াতের দীর্ঘ বিরম্বনা লাঘব হবে বলে যত শিঘ্র সম্ভব ব্রীজ নির্মানের দাবী স্থানীয়দের।

পিবিএ/আবুবকর সিদ্দিক/বিএইচ

আরও পড়ুন...