পিবিএ,টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর এক হিন্দু ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বখাটে রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে।
ওই ছাত্রী উপজেলার নগরবাড়ী গ্রামের মনোরঞ্জন দাশের মেয়ে। বখাটে রাসেল মিয়া (১৮) একই গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিারজ করছে। অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার প্রক্রিয়াও হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্কুল ছাত্রীর পরিবারসূত্রে জানা যায়, সে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির থেকে বের হলে বখাটে রাসেল পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ছাত্রীর জামা পায়জামা ছিঁড়ে ফেলে। ধর্ষণ করতে না পেরে ছাত্রীটির শরীরের বিভিন্নস্থানে কামড়ে দেয়। এসময় মেয়েটির চিৎকার দিলে রাসেল পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে নারান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আলো রানী দাশ পিবিএকে বলেন, স্কুল ছাত্রী ও তার মা কান্না করতে করতে আমাদের স্কুলে এসে ঘটনা জানিয়েছে। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। যাতে এরকম ঘটনা ঘটাতে আর কেউ সাহস না পায়।
স্কুল ছাত্রীর পিতা মনোরঞ্জন দাস কান্নাবিজড়িত কন্ঠে পিবিএকে বলেন, আমরা গরীর নীরিহ মানুষ। আমার মেয়ের সাথে এই ঘটনাকারীর বিচার চাই। আমাদের উপর চাপও দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, বখাটে রাসেল বিভিন্ন সময় স্কুল ছাত্রীর পাড়ার মেয়েদের উত্যক্ত করে আসছে। এদিকে এ বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ধাপাচাপা দেওয়ার জন্য স্কুল ছাত্রীর পরিবারের উপরে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত রাসেল মিয়ার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীও বখাটে রাসেলের শাস্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে কালিহাতীর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন পিবিএকে বলেন, স্কুল ছাত্রীর দাদা গুরুদাস বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ পিবিএকে বলেন, আমি বিষয়টি অবগত নই। যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তবে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সত্যতা পেলে যথাযথ শাস্তি হওয়া উচিত।
পিবিএ/টিএ/হক