
ট্রাফিক সার্জেন্টরা রাস্তায় ভয়ানক অসুবিধায় থাকে, তাদের একটু আরামের ব্যবস্থা করতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতি আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ডিএমপি’র ৪৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভা তিনি এ আহ্বান জানান।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৫০টি থানা,৩৪ হাজার জনবল নিয়ে ঢাকায় বসবাস করা নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।বাংলাদেশ পুলিশের মোট জনবল দুই লাখ ১০ হাজারের বেশি।প্রতিটি পুলিশ ৮২৫ জন মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ডিএমপির যতগুলি ইউনিট আছে সবগুলি খুব সুন্দর কাজ করছে।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিলো সেজন্য আমরা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গঠন করেছিলাম।আমরা সাইবার ইউনিট তৈরি করেছিলাম,ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার গড়ে তুলেছিলাম,আমরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রের জন্য ট্রাফিক ইউনিট করেছি যা ডিএমপির কমিশনারের অধিনে কাজ করে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই জায়গায় এসে মনে যায় সেই দিনের (২৫ মার্চ) কথা।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চে যে ডাক দিয়েছিলেন।সেই ডাকে পুলিশ বাহিনী নিজের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলো।অনেক পুলিশ সদস্য সেদিন শহীদ হয়েছিলেন। তারা জানতেন তারা এই যুদ্ধে জয়ী হবেন না কিন্তু তারা নৈতিকতা ও স্বাধীনতার জন্য প্রথম যে কাজটা করেছিলেন সেটা আমাদের রাষ্ট্র আমাদের উদাহারন হয়ে আছে।আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেছিলেন পুলিশ জনগণের পুলিশ হবে। আজকে কিন্তু আমাদেরই পুলিশ,জনগণের পুলিশ হয়েছে। জনগণের জন্য তারা সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। আরোও বিশ বছর আগে পুলিশের কথা যদি চিন্তা করি, সেই সময় মানুষ পুলিশকে ভয় পেতো।
তিনি বলেন, আজকে কিন্তু পুলিশের ওপর আস্থা, বিশ্বাস রাখছে,কোন প্রয়োজন হলে মানুষ পুলিশের কাছে যাচ্ছে। কোভিডের সময় আপনারা দেখেছেন মায়ের মরদেহ সন্তান ফেলে রেখে গেছে। পুলিশই তাদের শেষ কার্যটি করেছে।কাজেই পুলিশ এমনই একটি আস্থার জায়গায় এসেছে,আমরা মনে করি বিপদে,আপদে সব সময় আমাদের পাশে আছে। ডিএমপিও সেই কাজটিই করছে ঢাকা নগরীর জন্য।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রদের কাছে দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,তাদের কাছে (দুই মেয়র) জোর দাবি জানাবো, আমাদের ট্রাফিক আমাদের সার্জেন্টরা ভয়ানক অসুবিধায় থাকে। তাদের জন্য যদি মাঝে মাঝে বিশ্রামের জন্য যদি একটু করে দেন। এই আহবানটি রাখছি। ডিএমপি আরও এগিয়ে যাবে,তাদের সেবার পরিধি বাড়াবে। আরও দক্ষতার সব কিছু মোকাবিলা করবে এই আস্থা ও বিশ্বাস রাখি।