প্রত্যেক বছরেই বছরের শেষ দিনটি থার্টি ফাস্ট নামক রাত হিসাবে আমাদের সকলেরই পরিচিত। নানান শ্রেনীর মানুষ এই দিনটি ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা নিয়ে পালন করে থাকে।
শুধু তাই নয়,এই থার্টি ফাস্ট নামক এই দিনে নানান অপসংস্কৃতিও আমাদের সমাজে পর্যবেক্ষণ করা যায়৷ যা ব্যক্তিগত জীবন, সামাজিক জীবনে ব্যাপক ভাবে অবক্ষয় এর সাড়া প্রদান করে।
শুধু এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ নয় এই থার্টি ফাস্ট নাইট যুবকদের চারিত্রিক অবক্ষয় করে থাকে।
এই রাতে এমন অনেক জায়গায় নানান প্রকার অশালীন গান বাজনা, মাদক, নারী কোনো কিছুতেই সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না। যা আমরা থার্টি ফাস্ট নাইটের পরেরদিন পত্রিকার পাতা উন্মুক্ত করলেই দেখতে পাই।
থার্টি ফাস্ট পালন করার ফলে এত কিছুর ক্ষতি হয় আমরা পর্যবেক্ষণও করি তবুও কেন এটি আমরা পালন করি? এটি কি আমাদের বিবেক বোধের অভাব নাকি আমরা বুঝেও বুঝতে চাই না?
এমনও অনেক স্থান রয়েছে যেখানে এই থার্টি ফাস্ট নাইট এমন প্রফুল্লের সাথে পালিত হয় যেন মনে হয় যেন এটিই আমাদের অনেক বড় উৎসব। তবে কি তাই?
মোটেও না, এই থার্টি ফাস্ট নাইট ব্যক্তিগত জীবনে, সামাজিক জীবনে মোটেও কল্যানকর কোনো কিছু বয়ে আনতে পারে না।
এই থার্টি ফাস্ট নাইট বয়ে আনে অপসংস্কৃতি, এই দিনে আমরা আমাদের বাংলা ভাষাকেও ভুলে যাই। সাউন্ড বক্সে বেজে ওঠে নানান ভাষার অশালীন গান গুলো।
যা সমাজে বসবাস রত বাকি মানুষগুলোর জন্য ব্যাপক বিরক্তের কারন।
যারা এই লিখাটি পড়ছেন তারা বলতে পারেন এটি তো আমাদের কালচার। আমি বলব এটি মোটেও আমাদের কালচার নয়। এই থার্টি ফাস্ট নাইট নামে এমন অপসংস্কৃতি কখনোই আমাদের দেশের কালচার হতে পারে না। এটি প্রাচীন রোমান খ্রীষ্টানদের একটি উৎসব । তবে কেন আমরা বাংগালী এই দিনটিকে এত অপসংস্কৃতিতে ভরিয়ে তুলি? কেন আমরা আমাদের সমাজকে মাদক সহ নানান ক্ষতির দিকে ঠেলে দেই?প্রশ্ন থেকেই যায়
থার্টি ফাস্ট নাইট নামক এমন অপসংস্কৃতি রোধ করা আমাদের সকালেরই মৌলিক দায়িত্ব। এরই মধ্যে দিয়ে নীতি নৈতিকতায় গড়ে উঠবে আদর্শবান সোনার মানুষ গুলো। এবং সমাজে নানান অপরাধও কমে যাবে৷ তাই আমাদের উচিত এমন অপসংস্কৃতিকে কঠোর ভাবে বর্জন করা।
পিবিএ/এমএসএম