দিনাজপুরে ইন্টার্নির চিকিৎসকসহ দুইজন করোনা শনাক্ত, মোট ৫৩

পিবিএ,দিনাজপুর প্রতিনিধি: একজন ইর্ন্টানী চিকিতসকসহ দিনাজপুর জেলায় করোনা (কোভিড-১৯) নতুন আরও দুই জন পজিটিভ শনাক্ত। এ নিয়ে দিনাজপুর জেলায় (কোভিড-১৯) পজিটিভ সংখ্যা সর্বমোট পূর্বে ৫১ + ২ (বর্তমানে) = ৫৩ জন এর মধ্যে ৪০ জন পুরুষ ও ১০ জন মহিলা এবং ৩ জন শিশু।

গত মঙ্গলবার রাত ৮ টায় সিভিল সাজর্ন অফিসের তথ্য অনুসারে এই দুইজনের জনের মধ্যে দিনাজপুর সদরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১ জন ইন্টার্নির চিকিৎসক বয়স ২৬ এবং আরেক জন বিরামপুর উপজেলায় বয়স ৫৫ বৎসর, উভেয় পুরুষ।

গত ২৪ ঘন্টায় ১৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজের পিসিআর-টি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে মোট ১৬৩টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে এর মধ্যে ২ টি করোনা (কোভিড-১৯) পজিটিভ ও পূর্বের ফলোআপ ১টি পজিটিভ আর বাকী ১৬০টি ফলাফল নেগেিেটভ।

অদ্যাবধি ল্যাবটেরিতে প্রেরিত নমুনার সংখ্যা ১৫২১ টি এবং অদ্যাবধি ফলাফল পাওয়া নমুনার সংখ্যা ১২৭৭ টি। সর্ব মোট ৫৩ জন ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে (দিনাজপুর সদর ১৪ জন, কাহারোল ৭ জন, বোঁচাগঞ্জ ৪ জন, ফুলবাড়ী ১ জন, পার্বতীপুর ৫ জন, নবাবগঞ্জ ৪ জন, ঘোড়াঘাট ৪ জন, হাকিমপুর ২ জন, চিরিরবন্দর ১ জন, বিরল ৩ জন, বিরামপুর ৪ জন ও বীরগঞ্জ ৪ জন) মোট ১২টি উপজেলায় হয়েছে। বর্তমানে খানসামা উপজেলা করোনামুক্ত।

বর্তমানে বাড়ীতে চিকিৎসা নিয়ে বোঁচাগঞ্জ উপজেলায় ১ জনসহ মোট ৮ জন সুস্থ হয়েছেন তার মধ্যে সদরে-৩ জন, ফুলবাড়ী-১ জন, নবাবগঞ্জ-১ জন, পার্বতীপুরে-১ জন, কাহারোল-১ জন এবং বোঁচাগঞ্জে-১ জন। মৃত্যু বরন করেছেন ১ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছে ৩৯ জন এবং অদ্যাবধি এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি-৫ জন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুসারে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৬৫৮৪ জনের মধ্যে ৫১৬৯ জন সুস্থ থাকায় অব্যাহতি পেয়েছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা দাড়িছে ১৪১৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে দিনাজপুর জেলায় ১২০ জন হোম কোয়ারেন্টাইন গ্রহন করেছে। অদ্যাবধি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে প্রেরিত হয়েছেন ২২০ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি পেয়েছে ১৪১ জন। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৭৯ জন।

সিভিল সার্জন মো: আব্দুল কুদ্দুস জানান, আর যারা ইতিমধ্যে নারায়নগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর থেকে এসেছে এবং ইতিপূর্বে যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল তাদের সন্দেহ হলে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। প্রায় সব আক্রান্ত পুরুষরগন ও মহিলাগন ঢাকা, গাজীপুর এবং নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছে।

পিবিএ/রফিকুল ইসলাম ফুলাল/বিএইচ

আরও পড়ুন...