পিবিএ ডেস্ক: দুদক এখন দুর্নীতিবাজদের কাছে ভীতিকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। সে কারণে দুদক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সব ধরণের হস্তক্ষেপের ঊর্ধ্বে থেকে নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করছে বৃহস্পতিবার (২৩মে) ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন কমিশনের ১১২তম গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধির বিকাশমান ধারা অব্যাহত রাখার জন্য দুর্নীতি দমন করতে হবে। সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতেই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা হচ্ছে। বর্তমানে দুদকের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কার্যক্রম সব স্তরে বিকশিত হচ্ছে। দুদক দুর্নীতি প্রতিরোধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অবলম্বন করেছে।
দুদক কমিশনার বলেন, জনগণকে হয়রানি করার অধিকার কারো নেই। দুর্নীতি এবং দীর্ঘসূত্রিতা মুক্ত থেকে সরকারি পরিষেবা প্রদান করা সরকারি কর্মকর্তাদের আইনি দায়িত্ব। কেউ সেবা প্রদানে ঘুষ দাবি করলে, দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬ এ অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়ে দুদক কমিশনার বলেন, তাহলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারসহ সব ধরণের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্নীতি করে কেউ পাড় পাবেন না।
গণশুনানিতে স্থানীয় সেবা প্রত্যাশী নাগরিকগণ ভ‚মি, পল্লীবিদ্যুৎ, বিআরটিএসহ অন্যান্য দফতর সংশ্লিষ্ট মোট ২৭টি অভিযোগ উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে ১০টি অভিযোগ দুদক কমিশনারের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। এ ছাড়া পল্লীবিদুৎ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার।
ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান, দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
পিবিএ/আরআই