নওগাঁর আম চাষী সাখাওয়াতের বাগানে আশ্বিনা ও গৌরমতি আম দামে বাজিমাৎ

শামীনূর রহমান,নওগাঁ: নওগাঁর সাপাহারে আমের মৌসুম শেষেও উপজেলার শিরন্টি ইউনিয়নের ফুটকইল গ্রামের আম চাষী সাখাওয়াত হাবীবের বাগানে দোল খাচ্ছে আশ্বিনা ও গৌরমতি জাতের আম। শেষ সময়ে আমের দামে বাজিমাৎ করেছেন তিনি।

আমচাষী সাখাওয়াত হাবীব জানান, তার বাগানে বিভিন্ন জাতের আম চাষ করছেন তিনি। ভালো দামের আশায় তিনি ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতির মাধ্যমে আম সংরক্ষণ করেছেন। যাতে করে ভোক্তারা একদিকে যেমন মৌসুম শেষ সময়ে পাচ্ছেন রসালো আম অপরদিকে চাষী সাখাওয়াত হাবীব পাচ্ছেন আশানুরূপ বাজার মূল্য। বর্তমানে আমের মৌসুম শেষে আশ্বিনা আমের বাজার মূল্য প্রতিমণে ১২ হাজার ও প্রতিমণ গৌরমতি জাতের আম বিক্রয় করছেন ১৩/১৪ হাজার টাকা।

তিনি আরো জানান, ফ্রুট ব্যাগিংয়ের মাধ্যমে আম স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে সংরক্ষণ করা যায়। যার কারনে পোকামাকড় থেকে আম রক্ষা পায়। এছাড়াও ফ্রুট ব্যাগিংয়ের মাধ্যমে আম সংরক্ষণ করলে মৌসুমের মাঝামাঝি ও শেষ সময়ে আম হারভেস্টিং সম্ভব হয়। যাতে করে অধিক লাভের সম্ভাবনা থাকে।

সাপাহার উপজেলা আম আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, ভরা মৌসুম শেষে আমের চাহিদা তেমন না থাকলেও সৌখিন ব্যক্তিরা বেশি দামে আমগুলো ক্রয় করে থাকেন। যার ফলে চলতি বছরের মৌসুম শেষে চাষীরা আমের বাম্পার বাজার মূল্য পাচ্ছে।

তিনি আরোও বলেন, বাগান থেকে আম হারভেস্টিং করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম মোকাম হলো বাদামতলী। এই অঞ্চলের আমের গুণগত মান ভালো ও অধিক রসালো। যার ফলে সারাদেশেই সমাদৃত নওগাঁর আম। শেষ সময়েও সাপাহারে আম কিনতে আগ্রহী বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা। যাতে করে ভরা মৌসুম শেষেও বাগান থেকে আম হারভেস্টিং করে সরাসরি পাইকাররা নিজের মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সামছুল ওদাদুদ ঢাকা জানান, কৃষি বিভাগ থেকে চাষী সাখাওয়াত হাবীব আশ্বিনা ও গৌরমতি জাতের আম চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে সব রকমের পরামর্শ এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করা হবে।

যদি কেউ গৌরমতি ও আশ্বিনা আমের বাগান গড়ে তুলতে চায়, তাকে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।

 

আরও পড়ুন...