পিবিএ, নওগাঁ : নওগাঁয় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে সিঙ্গাপুর ফেরত মেহেদী হাসান (২৭) নামে এক যুবককে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের পাতলাপাড়া গ্রামে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সন্দেহে মেহেদী হাসান নামে ওই যুবক ভর্তি হওয়ার সংবাদ পেয়ে অনেক রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে। অনেকে ছাড়পত্র নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পুরো হাসপাতালে এখন সেবিকা ও রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, চার বছর সিঙ্গাপুরে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। এর মধ্যে একবার গ্রামে এসেছিলেন। দেড় বছর পর গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আবার দেশে আসেন। তিনি সুস্থ ছিলেন। হঠাৎ করে রোববার রাত থেকে জ্বর, সর্দি ও মাথা ব্যথা শুরু হয়। সোমবার বিকেলে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে দেখানো হলে নওগাঁত আসতে বলেন। পরে তাকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
হাসপাতালের সিনিয়র নার্স সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এ ভাইরাস মোকাবিলায় যে সুরক্ষিত পোশাক প্রয়োজন তা আমাদের নেই। যেহেতু এ রকম প্রথম একটা রোগী ভর্তি হয়েছে তাই একটু ভয় কাজ করছে।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মুনির আলী আকন্দ বলেন, করোনার যে উপসর্গ (জ্বর, সর্দি, কাশি) তার মধ্যে সবই আছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও আমরা নিশ্চিত নয়। পরীক্ষার জন্য কিছু নমুনা আজ মঙ্গলবার সকালে আমরা ঢাকায় পাঠিয়েছি। এটা একটা গুজব হতে পারে। তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস
মোকাবিলায় প্রাথমিকভাবে মাস্কসহ চিকিৎসার যেসব সরঞ্জামাদি দরকার হয় তা আমাদের যথেষ্ট আছে। পরীক্ষার পর যদি রোগীর শরীরে করোনা পাওয়া যায় তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। হাসপাতালে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা না থাকায় রোগীকে একা এক ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
পিবিএ/ বাবুল আখতার রানা/জেডআই