নকলায় ২ করোনা আক্রান্তের আশপাশের ৩৫ বাড়ি লকডাউন

পিবিএ,শেরপুর: শেরপুরের নকলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ২ জনসহ নতুন ৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস (কভিট-১৯) সনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্তরা হলেন, নকলা হাসপাতালে কর্মরত তবে ছুটি নিয়ে ঢাকাতে অবস্থান করা ডা. তানজিনা মাহবুব, নকলায় অবস্থান করা সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এএইচআই) মো. মফিদুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী বজলুর রহমান। নকলায় অবস্থান করা এ ২ জনের নিজ নিজ বসত বাড়ির নিদিৃষ্ট কক্ষে আইসোলেশন থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া করোনা আক্রান্ত এ ২ জনের বাড়িসহ আশপাশের ৩৫ টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মজিবুর রহমান জানান, ডা. তানজিনা মাহবুব এর নমুনা সংগ্রহের পরে সে ছুটি নিয়ে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. মফিদুল ইসলাম উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের জাঙ্গিরারপাড় এলাকায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কর্মরত চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী পৌরসভার গ্রীণরোডের বাসিন্দা বজলুর রহমান নিজ বাসা বাড়িতে আছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, ডা. তানজিনা মাহবুব ছুটি নিয়ে রাজধানী ঢাকাতে অবস্থান করায় আপাতত সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. মফিদুল ইসলামের বাড়িসহ তাঁর বাড়ির আশপাশের ১৫ টি বাড়ি সোমবার বিকেলে ও আমার কার্যালয়ে কর্মরত চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী বজলুর রহমানের বাড়িসহ তাঁর বাড়ির আশপাশের আরও ২০ টি বাড়ি রাত সাড়ে ১০ টার দিকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ ২ জনকে নিজ নিজ বসত বাড়ির নিদিৃষ্ট কক্ষে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান কর্তৃক লকডাউন ঘোষণা করার সময়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মজিবুর রহমান, নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন শাহ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এফ.এম কামরুল আলম রঞ্জু, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আবু কাউসার বিদ্যুত, পৌর কার্যালয়ের টিকাদান সুপারভাইজার মো. মোখলেছুর রহমান, পুলিশ সদস্য আতাউর রহমান ও স্থানীয় সাংবাদিকসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আবু কাউসার বিদ্যুতের দেওয়া তথ্য মতে জানা গেছে, নকলা হাসপাতালের উদ্যোগে করোনা আক্রান্তের সন্দেহে এ পর্যন্ত উপজেলার ৩০০ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পরে, তা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে আজকের ২ জন সহ মোট ১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস (কভিট-১৯) এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে নকলা হাসপাতালে কর্মরত ২ চিকিৎসক ও বাগানের এক মালী, নকলা থানার ২ পুলিশ সদস্য, উপজেলার পাঁচ কাহুনিয়া এলাকার মো. রনি মিয়া ও চরভাবনা নয়াপাড়া এলাকার সরুফা বেগমসহ ৭ জন সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে ফিরেছেন। বাকি ৩ জন বিভিন্ন স্থানে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে
পিবিএ/এএম

আরও পড়ুন...