পিবিএ,কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের শীয়া পাড়া। এ গ্রামের কেউ মারা গেলে নদীর উপর লাশ ভাসিয়ে কবরস্থানে নিতে হয়। অভাব শুধুমাত্র একটি সেতুর। এ অঞ্চলের কেউ মারা গেলে বার বার উঠে আসে এমন কঠিন অমানবিক বাস্তব চিত্র। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও যার কোন সমাধান হয়নি।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের মৃত্যুর পর আবারও গর্জনিয়ার শিয়া পাড়ার মানুষকে মুখোমুখি হতে হয়েছে এ অমানবিক নিষ্ঠুর পরিনতির।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের হরিণ খাইয়া গ্রামের মৃত আকবর আহমেদরে পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ প্রকাশ মুজারু (৭৮) মৃত্যু বরণ করেন। তার পিতা-মাতার কবরের পাশে দাফন করার জন্য পার্শ্ববর্তী গর্জনিয়া ইউনিয়নের শিয়া পাড়া জামে মসজিদের কবরস্থানে দাফন করার জন্য যান। জানাজায় অংশ নিতে কেউ কেউ বাঁশের তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পার হয়। তবে বেশির ভাগ গ্রামবাসীকে পার হতে হয় কোমর পর্যন্ত পানিতে ভিজে। আর লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাতের উপর ভার করে পানিতে ভাসিয়ে। যা দেখে মানুষের বিবেগ আপ্লূত হয়।
এ অমানবিক দৃশ্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারকে দেখালে কি সমাধান হবে? এমন মন্তব্য এলাকাবাসীর।
কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে অবহেলিত জায়গাটি হচ্ছে গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল শিয়া পাড়া। এখানকার বাসিন্দারা জানেনা কে তাদের চেয়ারম্যান, কে তাদের এমপি?
এছাড়া এসব সড়ক ও ব্রিজের কারণে ওই এলাকার ছোট্ট কোমলমতী শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না। যে কারণে এই এলাকার মানুষ বেশির ভাগই অশিক্ষিত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল জব্বার বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ উপজেলা ও জেলার জনপ্রতিনিধিদের আমি বার বার অনুরোধ করে বলেছি, শিয়া পাড়া এবং বড়বিলে একটি ব্রিজ দরকার, কিন্তু তারা কেউ কথা কানে নেয়নি । এজন্য এর সমাধানও হয়নি। একটি ব্রিজের অভাবে হাজারেরও অধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দী বলে দাবি তার।
এ ব্যাপারে গর্জনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।
পিবিএ/এমএসএম