সুনান বিন মাহাবুব,পটুয়াখালী: মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ, সেই মুহূর্তে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সংকটের মধ্যেই রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছেন পটুয়াখালীর অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। রোগী বহনে ফোন এলেই সবার আগে জানতে চাচ্ছেন রোগীর লক্ষণ কী কী। এর প্রধান কারন হচ্ছে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাব।
তবে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাব থাকলেও মানবসেবা থেকে বিরত রাখতে পারেনি অনেক চালককে। অসুস্থদের বাড়ি থেকে হাসপাতালে পৌঁছানোর সেবা দিচ্ছেন তারা। পটুয়াখালী জেলায় ১২০টি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এরমধ্যে পটুয়াখালী সদর হাসাপতালে বেসরকারী ২০টি অ্যাম্বুলেন্স রোগী বহন করে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ২টি অ্যাম্বুলেন্সের দুটিই নষ্ট।
পটুয়াখালী বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্স চালক দুলাল বলেন, “আমি সাত বছর ধরে অ্যাম্বুলেন্স চালাই। আমার পরিবারে স্ত্রী, সন্তান সবাই বসবাস করে। অ্যাম্বুলেন্সে বিভিন্ন হাসপাতালের রোগী বহনের পর রাতে বাসায় ফিরলে আমার পরিবারের সদস্যরা কাছে আসে না। খুব কষ্ট হয় তখন। তারপরও রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি আমি। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও সরকার থেকে আমি কোন সুরক্ষা সরঞ্জাম পাইনি”।
পটুয়াখালী অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ নেছার উদ্দিন হাওলাদার বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে রেখে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে নিরলস ভাবে। সরকার যদি পটুয়াখালীর অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সুবিধার জন্য সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), মাস্ক, গ্লোপস, হ্যান্ডসেনিটাইজার দিতো তবে নিরাপদ থেকে রোগীদের সেবা দিতে পারতো তারা।
পিবিএ/বিএইচ