নোয়াখালীর ৬ উপজেলাতেই আ,লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী

মোঃইব্রাহিম, পিবিএ, নোয়াখালী: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে নোয়াখালীর সাত উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৪জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে সাতজন প্রার্থী হয়েছেন। তবে, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম পিবিএকে জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার (৪ মার্চ) সাত উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩১ ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দীন, বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।

কবিরহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি, বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও জেলা পরিষদের পদত্যাগী সদস্য আলা বক্স তাহের টিটু ও কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য খাদেমা আক্তার রোজি।

সেনবাগ উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সভাপতি জাফর আহম্মেদ চৌধুরী। বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক।

সোনাইমুড়ী উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ব্যবসায়ী খন্দকার রুহুল আমিন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আ ফ ম বাবুল (বাবুল চেয়ারম্যান)।

চাটখিল উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল চৌধুরী। এছাড়া জাতীয় পার্টির সহসভাপতি আবুল হাসান ভুইয়া কুসুম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন রহিম উদ্দিন।

বেগমগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক বাদশা। আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ। জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুর রব।

সুবর্ণচর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী দিদারুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, আগামী ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে সাতটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে হাতিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে সরকার দলীয় প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সদর উপজেলার নির্বাচন মামলা সংক্রান্ত কারণে আপাতত নির্বাচন হচ্ছে না।

পিবিএ/আই/এইচএইচ

আরও পড়ুন...