ম্যাচ জিততে দরকার ছিল ৬৫ রান। হাংজুর উইকেটে এই রান তোলাও রীতিমত কষ্টকর। ২০ ওভারের ম্যাচে পদক জয় করে আনা খুব যে সহজ হবে না, তা অনুমেয় ছিল। তবে, সেসব পাত্তাই দিলেন না দুই বাংলাদেশি ওপেনার শামীমা সুলতানা ও সাথী রানি। ৫ ওভারেই তুলেছেন ২৭ রান। শক্ত ওপেনিং জুটি বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
এরপরই অবশ্য উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ২৭ আর ব্যক্তিগত ১৩ রানে আউট হন শামীমা। সাদিয়া ইকবালের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দলীয় ৩০ রানে সাথী আর ৩৪ রানে অধিনায়ক জ্যোতি আউট হলে শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। বিপদ আরেকটু বাড়ে ৪৩ রানে শোভানা মোস্তারির আউটে। নাশারা সিন্ধু নিজের ৪ ওভারের স্পেলে আউট করেন ৩ টাইগ্রেস ব্যাটারকে।
তবে এরপর বিপদ বাড়তে দেননি স্বর্ণা আক্তার এবং রিতু মণি। লক্ষ্য যেখানে ৬৪, সেখানে তাদের ১৪ রানের জুটিই টাইগ্রেসদের দিয়েছে স্বস্তি। দলীয় ৫৭ রানে অবশ্য ফিরে গিয়েছিলেন রিতু। তবে তার ১৪ বলে ৭ রান এই লো-স্কোরিং ম্যাচের জন্য রেখেছে বড় অবদান।
এর আগে ৩য় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। আগেরদিন টস জিতে বাংলাদেশের ব্যাট করার সিদ্ধান্ত বিস্মিত করেছিল সবাইকে। এবার আর সেই ভুল করলেন না টাইগ্রেস দলপতি।
সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তার প্রমাণও দেন বোলাররা। স্কোরবোর্ড দুই অংকে না পৌঁছাতেই তুলে নেয় ৩ উইকেট। নবম ওভারে বল করতে এসেই ১৩ রান করা সাদাফকে ফিরিয়েছেন রাবেয়া খান। ১৮ রানে নেই পাকিস্তানের চার উইকেট।
এরপরেই যেন ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন পাকিস্তানি মেয়েদের। নাতালিয়ার সঙ্গে অধিনায়ক নিদা রশিদ করেন ১৮ রানের জুটি। ছোট্ট এই পার্টনারশিপই পাকিস্তানকে আশা দেখাতে শুরু করে। নাতালিয়াকে ১১ রানেই অবশ্য থামান সানজিদা মেঘলা। ৩৬ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর বড় কোনো জুটি না হলেও রান এসেছে নিয়মিত। আলিয়া রিয়াজের ১৮ বলে ১৭, নিদা রশিদের ১৮ বলে ১৪ পাকিস্তানকে ৫০ পেরুতে সাহায্য করে। নবম উইকেট জুটিতে আসে ২০ রান। তাতেই ৬৪ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। হাংজুর পিচে এটাই হতে পারত লড়াকু পুঁজি। তবে দিনটা ছিল টাইগ্রেসদের। ছোট লক্ষ্য পার হতে কষ্ট হলেও জয় এসেছে বাংলাদেশের পক্ষেই। আর ট্রাইগ্রেসদের হাত ধরে এবারের এশিয়ান গেমসে প্রথম পদক জমা পড়েছে বাংলাদেশের ঝুলিতে।