পুনরায় সংঘর্ষে জড়ালো পুলিশের কাছে অস্ত্র জমাদানকারীরা

পিবিএ,নড়াইল: এক মাস পার হতেই পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল পুলিশের কাছে দেশীয় অস্ত্র জমাদানকারীরা। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডব ও চালিঘাট গ্রামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ১০টি বাড়িঘর ভাংচুর ও মুলবান জিনিসপত্র ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৮ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কাশিপুর ইউনিনের গন্ডব ও চালিঘাট গ্রামে সৃষ্ট দুটি দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।

একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন জেলা পরিষদের সদস্য গন্ডব গ্রামের সুলতানুজ্জামান বিপ্লব ও অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের মিরাজ মোল্যা।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে উভয়পক্ষের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়। এরপর হামলা ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

ঢাল, সড়কি, ইট-পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রাদি নিয়ে আধা ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়। আহতদেরকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসময় উভয়পক্ষের ১০টি বাড়িঘর ও দোকান ভাংচুর ও মুলবান জিনিসপত্র ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মিরাজ মোল্যার পক্ষে আহত হয়েছেন চালিঘাট গ্রামের ছায়ফার শেখের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য শরিফুল শেখ (৩৮), রফিক শেখ (৩২), রবি শেখ (২৯), রেজাউল শেখ (২৭), একই গ্রামের জামাল শেখ (৩৫), সুইট শেখ (৪০) ও গন্ডব গ্রামের সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৪০)।

ছায়ফার শেখে অভিযোগ করে বলেন, ‘ জেলা পরিষদের সদস্য সুলতানুজ্জামান বিপ্লবের নেতৃত্বে চালিঘাট গ্রামের ইউসুফ শেখের দোকান ভাংচুর ও লুটপাটসহ শরিফুল, রফিক শেখ, রবি শেখ ও রেজাউল শেখের বাড়িঘর ভাংচুর, ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। এসব বাড়ি থেকে টাকাসহ মুল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করা হয়েছে।’

অপরপক্ষের নেতৃত্বদানকারী সুলতানুজ্জামান বিপ্লব বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ তারাবির নামাযের সময় আমার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করে। আমাদের পক্ষের আজিজার শেখ (৫০), ওদুদ মোল্লা (৫৫), রবিউল (২৫) সহ ৬/৭ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩জনকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যান্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এছাড়া ৭/৮টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ‘ বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডব গ্রামের ইউপি সদস্য (২নং ওয়ার্ড) সলেমান, গন্ডব গ্রামের সরু সিকদার, আলিম সিকদার ও সাদিয়ার সিকদারকে আটক করা হয়েছে। আটক চারজনকে ১৫১ ধারায় কারাগারে পঠানো হয়েছে। বর্তমনে সেখানে পুলিশ টহল দিচ্ছে।’

উল্লেখ্য, যে গন্ডব ও চালিঘাট গ্রামবাসী গত ৫ এপ্রিল দুটি গ্রুপ ঢাল সড়কিসহ দেড় শতাধিক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রাদি জমা দেন। গ্রামে আর কোন গোলযোগ করবেন বলেও লোহাগড়া থানার ওসির নিকট ওয়াদাবদ্ধ হন। ###
পিবিএ/শরিফুল ইসলাম /এএম

আরও পড়ুন...