পিবিএ,দিনাজপুর: দুর্ঘটনার আগুনে ভস্মিভূত একটি অচল রেলইঞ্জিন (লোকোমেটিভ) সচল করতে সক্ষম হয়েছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুরের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার প্রকৌশলীরা। ইঞ্জিনটি আবারো দেশের রেলপথ দাপিয়ে বেড়াতে পারবে হবে পণ্য এবং যাত্রী পরিবহনে। চুড়ান্ত পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে সচল হওয়া ইঞ্জিনটি গতকাল বুধবার রেলওয়ে বিভাগের কাছে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অচল ইঞ্জিনটি সচল করতে পারায় সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ৩১ কোটি বৈদেশিক মুদ্রা।
২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ঢাকা সিলেট রুটে চলার সময় হবিগঞ্জের মাধবপুরের নোয়াপাড়া ষ্টেশনে লাইনচ্যুতির কারনে ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল পারাবাত আন্তনগর ট্রেনের ২৯৩৩ নম্বরের ইঞ্জিনটি। ৮ মাসের চেষ্টায় পোড়া ইঞ্জিনটি আবারো সচল হয়েছে পার্বতীপুরের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায়। এতে খরচ পড়েছে প্রায় সাড়ে তিনকোটি টাকা। আর সাশ্রয় হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। ইঞ্জিনটি রেল বিভাগের কাছে হস্থান্তরের মাধ্যমে আবারো শুরু হবে পন্য এবং যাত্রী পরিবহন কাজে। অচল ইঞ্জিনটি সচল করতে পারায় খুশি কারাখানার শ্রমিকরা। জনবলের ঘাটতি দুর করার পাশাপাশি প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবি করেছেন শ্রমিকরা।
লোকোমোটিভ কারখানার প্রধান নির্বাহী কুদর ই খুদা জানান, মাসে গড়ে ২টি করে বছরে প্রায় ২৪ থেকে ২৫টি রেল ইঞ্জিন সার্ভিসিং করা হয়ে থাকে কেন্দ্রীয় ওই লোকোমোটিভ কারখানায়। জনবলের ঘাটতি দুর করা হলে আরো বেশী সংখ্যক রেল ইঞ্জিন মেরামতসহ ঝকঝকে রাখা সম্ভব হবে এই কেন্দ্রীয় কারখানার মাধ্যমে। কারাখানার যান্ত্রিকবিভাগে অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা ৫৪৫জন। বর্তমানে বিভিন্ন পদে নিয়োজিত রয়েছে মাত্র ২৩৩জন শ্রমিক। শূন্য পদের সংখ্যা ৩১২জন। সাম্প্রতিক সময়ে উল্লাপাড়ায় লাইনচুত্যির ঘটনায় বিকল ২৯২০ নম্বরসহ ব্শে কয়েকটি ইঞ্জিন মেরামতের কাজ চলছে। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন কারাখানার ইয়ার্ডে সার্ভিসিং এর জন্য পড়ে রয়েছে।
পিবিএ/সালাহ উদ্দিন আহমেদ/বিএইচ