পিবিএ ডেস্ক : অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যাওয়া ছবিটা দেখে আৎতে উঠেছেন সবাই। এক রক্তাক্ত বাঘের ওপর চেপে বসে রয়েছে এক চোরাশিকারী। ওইভাবে বসেই বাঘের মাথায় ঘুষি মারতে উদ্যত সে। তাইল্যান্ড পুলিশ এই ছবিটি উদ্ধার করেছে ভিয়েতনামী চোরাশিকারীর দলকে ধরার পর। যে দলটি চারটি দেশে তাদের এই বেআইনী বাঘ শিকার চালাত। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে পাশ্চাত্যের ট্যাবলয়েড ‘দ্য সান’। ছবিটি উদ্ধার হয়েছে ওই চোরাশিকারী দলটির একজনের মোবাইল থেকে। বন্যপ্রাণীর চোরাশিকারের বিরুদ্ধে কাজ করা ‘ফ্রিল্যান্ড’ নামের একটি সংগঠন ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে লিখেছে, ‘তিন মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে যে কথাটি উঠে এসেছে তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। পেশাদার চোরাশিকারীদের এই দলটি বন্য বাঘদের শিকার করত। তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া সহ বেশ কয়েকটি দেশে রীতিমতো দাপটের সঙ্গে বাঘের চোরাশিকার চালাত তারা।’
এই চোরাশিকারীর দলটি পুলিশের জালে ধরা পড়ে গত বছর অক্টোবর মাসে। যে সময় পুলিশ তাদের গাড়ি থামায়, সেই সময় গাড়ির ভিতর ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ বাঘের কঙ্কাল। ফ্রিল্যান্ড ওই কঙ্কালটির ছবিও শেয়ার করেছে ফেসবুকে।
যদিও, এই নির্মম ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পরই বহু মানুষ এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। এই চোরাশিকারীদের ফাঁসির দাবিও তুলেছেন কেউ কেউ। পাশ্চাত্যের স্বনামধন্য সংবাদ সংস্থা ডেইলি মেল জানিয়েছে, বাঘের কঙ্কাল এবং ভালুকের নখের মতো জিনিসের দারুণ চাহিদা ভিয়েতনামের মতো দেশে।
ফ্রিল্যান্ডের কর্নধার পেতচারাৎ সাংচাই বলেন, ‘বাঘের হার দিয়ে তৈরি করা পানীয়ের জন্য বাঘের কঙ্কালটি হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বস্তু। মনে করা হয়, এই পানীয় বয়স্কদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনায় সরব হয় সবাই।অনেকেই ছবিটিকে ভয়ঙ্কর বলে আখ্যা দিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন। ডেইলি মেল অনুযায়ী, ভিয়েতনামে ভাল চাহিদা রয়েছে বাঘের কঙ্কাল এবং ভাল্লুকের নখের।
পিবিএ/জিজি