পিবিএ, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দল-মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। সাম্য, ভ্রাতৃত্ব এবং ঐক্যে বিশ্বাসী। এজন্য আমরা বিভিন্ন সময় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছি। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্য নিরক্ষরতার অভিশাপ মুক্ত বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এজন্য আমি দল-মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা চাই। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের দৃষ্টিতে দেশের সকল নাগরিক সমান।
সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ সবসময়ই জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির উপর আস্থাশীল।
একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সকল নাগরিকের অংশগ্রহণ জরুরি। আমরা ব্যক্তি হিসেবে বিভিন্ন দল/সংগঠন করতে পারি, আমাদের মতের ভিন্নতাও থাকতে পারে। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় প্রতিপক্ষ দলকে নিঃশেষ করার অপচেষ্টা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগ এবং এর দলের নেতা-কর্মীগণ এ ধরণের বৈরী আচরণের শিকার হয়েছেন বার বার।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের দুঃশাসনের কথা তুলে ধরে সংসদ নেতা বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পরদিন থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকগণ চরম নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছিলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবেও বারবার হামলার শিকার হয়েছি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমার এবং আমাদের দলের নেতাকর্মীদের উপর ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। আমার দলের ২২ নেতাকর্মীসহ সেদিন মোট ২৪ জন নিহত এবং ৫ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন।
যারা বেঁচে আছেন শরীরে স্পিন্টার নিয়ে দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। শেখ হাসিনা বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বচনে বিজয়ের পর আমরা টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছি। আমাদের দৃষ্টিতে দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক সমান। আমরা সবার জন্য কাজ করব।
পিবিএ/জেডআই