পিবিএ,ঢাকা: সারাবিশ্ব আজ বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করছে। আওয়ামী লীগ দেখিয়ে দিয়েছে চেষ্টা করলে যে উন্নয়ন করা য়ায়। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারে এসে সেটি প্রমাণ করেছে। আমরা কয়েক বছর সরকারে না থাকায় উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। জনগণের সেবা যে করা যায়, তার প্রমাণ আমরা করেছি। বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ব।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারও কাছে হাত পাতি না। মাথা নত করি না। বাংলাদেশ আজ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। আমরা প্রবৃদ্ধি ৮.১ ভাগ অর্জন করে উন্নয়নের রোল মডেল হতে পেরেছি। এই উন্নয়নের পেছনে আমরা যারা সরকারে কাজ করছি, সবার অবদান আছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের জমি উর্বর কিন্তু স্বল্প। তাই পরিকল্পিতভাবে আমাদের কাজ করতে হবে। পরিবেশের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।’ রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আপনারা কঠোর ভূমিকা রাখবেন। এটা এখন বিশ্বব্যাপী একটা সমস্যা। আইনশৃঙ্খলা, গোয়েন্দা সংস্থা ও দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বয় করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। সাধারণ মানুষ যেন হয়রানির স্বীকার না হয় সেদিকে লক্ষ রাখবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন,‘মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখতে হবে। মাদকসেবীরা একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।’ তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। এ ধরনের অপরাধ দমন করতে হবে। ঘুষ যে নেবে ও দেবে দুজনই সমান অপরাধী; বরং যে দেবে সে বেশি অপরাধী। এটা মাথায় রেখেই কাজ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে বাংলাদেশের গুরুত্ব আরও বাড়বে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘ আমরা জনসংখ্যাকে বোঝা হিসেবে মনে করি না। জনসংখ্যাকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে তারাই হবে প্রধান শক্তি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন ৯৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এক সময় মানুষের চাহিদা ছিল পেটের খাবার। আমি গ্রামে কঙ্কালসার মানুষ দেখেছি। দেখেছি মানুষের কাপড় নেই। তাদের বিদেশ থেকে পুরানো কাপড় এনে দেওয়া হয়েছে। এখন আর সেই অবস্থা নেই।’
তিনি বলেন, ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য খুলনা জেলা থেকে প্রথমে উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমি বললাম, আমিও আপনাদের সঙ্গে থাকবো। তবে যারা পেশাদার ভিক্ষুক তাদের আপনি এখান থেকে সরাতে পারবেন না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। তবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যতে সঠিকভাবে হয় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা বিদেশে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। ভাষা শিখে তারা যেন বিদেশে যেতে পারে সে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। দালালদের খপ্পরে পড়ে যাতে মানুষ নিজেদের জীবন শেষ করে না দেয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।’
পিবিএ/বাখ