পিবিএ,বাগেরহাট: বাগেরহাটে এক শিশুসহ পাঁচজনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে আইসোলেশনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকিদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হবে। একদিনে বাগেরহাটে এটাই সর্বোচ্চ। শুক্রবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর বাগেরহাটের স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়। আক্রান্ত এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছে প্রশাসন।
এই নিয়ে বাগেরহাটে মোট ১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সনাক্ত হল। করোনায় আক্রান্তরা সবাই সুস্থ্য স্বাভাবিক রয়েছেন।
এই জেলায় এখন পর্যন্ত যাদের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে তারা সবাই জেলার বাইরে থেকে সম্প্রতি বাড়িতে ফিরেছেন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সিংগাঁতি গ্রামের স্বামী স্ত্রী ও একই উপজেলার ধনপোতা গ্রামের বাবা মেয়ে (শিশু) এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার রাংদিয়া চাঁপাতলা গ্রামের এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ফকিরহাটের আক্রান্তরা গত ১৭ মে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে ফেরেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ এদের বাড়িতে যায়। এদের শরীরে করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ না থাকলেও জেলার বাইরে থেকে আসার কারনে স্বাস্থ্য বিভাগ সংক্রমণ সন্দেহে গত ১৯ মে তাদের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠায়। অন্যদিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার রাংদিয়া চাঁপাতলা গ্রামের এক ব্যক্তি ১৪ দিন আগে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে ফেরেন। ওই সময় থেকে তিনি বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। দুই দিন আগে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে তিনি বাগেরহাট সদর হাসপাতালে আসেন। তখন এই ব্যক্তিকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। খুলনার ল্যাবে পরীক্ষায় দুটি উপজেলার শিশু, এক দম্পতিসহ মোট পাঁচজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি জেলার বাইরে থেকে ফেরা। একজন বাদের সবাইকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের বাড়ির এলাকায় অন্যরা যাতে সুরক্ষিত থাকতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে আক্রান্ত এলাকায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে বাগেরহাটের ফকিরহাট, শরণখোলা, কচুয়া, বাগেরহাট সদর ও চিতলমারী উপজেলায় মোট ১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এদের সবাই সুস্থ স্বাভাবিক আছেন।
পিবিএ/শেখ সাইফুল ইসলাম/এমআর