বালির পরিবর্তে ময়লা-বর্জ্য দিয়ে শিয়ালজানি খালের উন্নয়ন

পিবিএ,মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা): খাল থেকে ময়লা-বর্জ্য তুলে সেগুলোই আবার কাজে লাগানো হচ্ছে খাল পাড় ঘেঁষে হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) নির্মাণের কাজে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের শিয়ালজানি খালের উন্নয়ন কাজের চিত্র এটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকৌশলীদের ভুল পরিকল্পনায় স্লাব বাধাই করা খালের পাড় কোন কোন অংশে কিছুটা নিচু হয়ে যায়। ফলে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে গিয়ে সেই নিচু অংশে ইট গেঁথে বাড়িয়ে নেয়ার ফলে ড্রেনের মতো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই গর্ত বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও ঠিকাদার সেটিকে খাল থেকে তোলা ময়লা-বর্জ্য দিয়েই ভরাট করছেন।

ময়লা-বর্জ্য দিয়েই ভরাট করা ওয়াকওয়ের ওপর বসানো হবে টাইলস। এমন রাস্তা খুব বেশিদিন ঠিকবে না, এমন অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও মোহনগঞ্জ পৌরসভা যৌথভাবে শিয়ালজানি খালের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে। তবে খালের ময়লা-বর্জ্য পরিষ্কার ও ওয়াকওয়ে তৈরির এ কাজটি করছে মোহনগঞ্জ পৌরসভা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার প্রকৌশলী মো. শামীম আহমেদ বলেন, খালের পাড় কিছুটা নিচু হয়ে গিয়েছিল। ফলে ইটের গাঁথুনি দিয়ে এটিকে বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে।আর গর্তটা খালের মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। এখানে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। পরে এর ওপর টাইলস করা হবে। এ কাজে কোন বরাদ্ধ নেই। এমনিতেই কাজটা করে দিতে হচ্ছে।

তবে ঠিকাদার রিপন মিয়া বলেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, ৪ লক্ষ টাকায় কাজটি করছি। গোডাউন ব্রিজ থেকে কাজী অফিস মোড় পর্যন্ত খালের পাড়ে ইটের গাঁথুনি দেয়া হয়েছে। মাটি ভরাট করা হচ্ছে। পরে টাইলস বসানো হবে।

এ কাজে গর্ত ভরাটে ৬ ইঞ্চি বালু ধরা আছে। আর বাকিটা মাটি দিয়ে ভরাট করার কথা। এ সবের পরিবর্তে পুরোটা ময়লা দিয়ে ভরাট করছেন ঠিকাদার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ৬ ইঞ্চি বালু ধরা আছে। তবে খালের মধ্যেই ভাল মানের বালু পেয়ে গেছি, সে কারণে পুরোটাই খালের বালু দিয়েই ভরাট করছি।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। সম্প্রতি শেয়ালজানি খালটি পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। প্রথমে ভ্যাকু দিয়ে ময়লা তুলে খালের পাড়ে রাখছে ঠিকাদারের লোকজন। পরে লরিতে তুলে অন্যত্র ফেলা হচ্ছে। এ কাজেও ময়লার সাথে খালের সুরক্ষা ব্লক তুলে মাটির দামে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

পিবিএ/জেডএইচ

আরও পড়ুন...