বায়োডার্মা কীটনাশক ব্যবহারে শতাধিক বিঘা আলু ক্ষেত নষ্ট

পিবিএ,জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মাটির ঘর বাজারের রাশেদুজ্জামান দুলাল নামে এক কীটনাশক ডিলারের কাছ থেকে কীটনাশক কিনে আলুর জমিতে স্প্রে করায় একশরও বেশি বিঘা জমির আলু ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। আলু ক্ষেত নষ্ট হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০ জন কৃষক। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ক্ষতিপুরণ সহ ওই কীটনাশক ডিলারের শাস্তির দাবি করেছেন। জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আনিছুর রহমান, জাকারিয়া হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, রকিবুল হাসান, ইমান হোসেন, সামছুল ইসলাম, আজিজুল হকসহ প্রায় ৫০ জন কৃষক বুকে আশা নিয়ে আলুর চাষ করেছেন। তারা জানান, হঠাৎ করে আলুর গাছে পচন দেখা দেওয়ায় ক্ষেতলাল উপজেলার মাটির ঘর বাজারের কীটনাশক ডিলার রাশেদুজ্জামান দুলালের কাছে যায়। ডিলারের পরামর্শে ইস্পাহানি কোম্পানীর সীল ব্যবহৃত বায়োডার্মা কীটনাশক ক্রয় করেন প্রায় ৫০ জন কৃষকরা। কীটনাশক কিনে এনে স্প্রে করার দুই/তিন দিন পর থেকে আলুর পচন পাতা ও গাছ শুকিয়ে মরতে শুরু করে। আস্তে আস্তে গত কয়েকদিনে কৃষকদের আলু ক্ষেতের অধিকাংশই গাছ শুকিয়ে মরে যায়। আর একারণে হতাশ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। তাদের ক্ষতিপুরণ সহ ওই ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।

ক্ষেতলাল উপজেলার মাটির ঘর বাজারের মেসার্স এম.ডি ইন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী কীটনাশক ডিলার রাশেদুজ্জামান দুলাল সাংবাদিকদের জানান, কীটনাশক বিক্রি করা হয়েছে এসব কৃষকদের মাঝে। তবে ইস্পাহানী কোম্পানীর বায়োডার্মা সিল মোহরকৃত কীটনাশক বিক্রি করেছি। তিনি আরও বলেন, কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হলে এর দায় দায়িত্ব কোম্পানীর। এতে আমার কিছু যায় আসে না।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স.ম মেফতাহুল বারি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত স্বাপেক্ষে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিবিএ/আবুবকর সিদ্দিক/এমএসএম

আরও পড়ুন...