পিবিএ,দিনাজপুর: দিনাজপুরের বিরামপুরে ওয়াকিল উদ্দিন মন্ডল হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও দোষ প্রমানিত না হওয়ায় এক নারীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আনোয়ারুল হক। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওই রায় প্রদান করেন তিনি। পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১১ সালে ২৫ জুন প্রতিবেশী ওয়াকিল উদ্দিনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করেন দন্ডিতরা।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, বিরামপুর উপজেলার জোতমাধব গ্রামে একটি পুকুরের মালিকানা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২০১১ সালে ২৫ জুন বিরোধীয় পুকুরের মাছ ধরার সময় ওয়াকিল উদ্দিন মন্ডলকে লাঠিপেটাসহ কুপিয়ে মেরে ফেলে প্রতিপক্ষরা। স্বামীকে হত্যার ঘটনায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় বিরামপুর থানায় মামলা করেন তার সদ্য বিধবা স্ত্রী বিলকিস বানু।
২২জন স্বাক্ষীর মধ্যে আদালতে ৭ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহনে দোষি প্রমানিত হওয়ায় পার্শ্ববর্তী খয়েরবাড়ী গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৪৫) জাফর উদ্দিনের দুই ছেলে ছেলে মামুনুর রশিদ মিলন (২৮) ও মোস্তাফিজুর রহমান বুলবুল ( ২৫) কে ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত এবং মজিবর রহমানের ছেলে সোহেল রানা বাবু (২৫) কে যাবজ্জীবন কারদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আনোয়ারুল হক। তবে অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত মোসলেম উদ্দিন মেয়ে মেহেরুনকে বেকসুর খালাস দেন তিনি। সাজা ভোগ করতে দন্ডিতদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলাটি সরকার পক্ষে অতিরিক্ত পিপি আজিজুর রহমান এবং আসামি পক্ষে এ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম সরকার, খয়রাত আলী ও শাহিনুর ইসলাম শাহিন পরিচালনা করেন।
পিবিএ/সালাহ উদ্দিন আহমেদ/বিএইচ
