
প্রায় খবরের শিরোনামে চলে আসে কোনো স্থানে বন্যা হচ্ছে তো আবার কোথায় খরায় ভয়াবহ অবস্থা। ছোট থেকে আমরা সবাই জেনে এসেছি পানির অপর নাম জীবন। নদীর পাড়ের মানুষেদের একবার জিজ্ঞাসা করে আসুন, বন্যায় ঘরের মধ্যে এক হাঁটু পানি থাকলেও খাওয়ার এক ফোঁটা পানি পান না। তাই পানি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করতেই প্রতিবছর ১৮ই সেপ্টেম্বর পালন করা হয় ‘বিশ্ব পানি পর্যবেক্ষণ দিবস।’
পৃথিবীর তিন ভাগ পানি আর এক ভাগ স্থল, কিন্তু পানিসঙ্কট যেন আমাদের নিত্যসঙ্গী। তাই প্রতিবছর গুরুত্বপূর্ণ ভাবে পালন করা হয় এই বিশেষ দিবস। এই দিবসের মূল লক্ষ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পানি পান এবং পানি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সচেতনতা । ১৮ ই সেপ্টেম্বর দিনটিকে বেছে নেয়ার পিছনে রয়েছে মজাদার এক কারণ।
এই বিশেষ দিবসের জন্য প্রথমে নির্ধারিত করা হয়েছিল ১৮ ই অক্টোবর দিনটিকে। কারণ ১৯৭২ সালের ১৮ ই অক্টোবর আমেরিকায় পাশ হয়েছিল পরিশ্রুত পানি আইন বা ক্লিন ওয়াটার অ্যাক্ট। তবে পরবর্তীকালে এই দিবস পালনের দিন পরিবর্তন করা হয়। এই সময় প্রচুর ঠাণ্ডার কারণে অনেক দেশে পানি জমে যায়।
তাই এই কর্মসূচিতে যাতে সব দেশ অংশগ্রহণ করতে পারে এজন্য ২০০৭ সালে ১৮ ই সেপ্টেম্বর দিনটিকে নির্ধারণ করা হয়। এই দিবসে পানির গুরুত্ব সম্পর্কে এবং কীভাবে নিজেদের আশেপাশের জলাশয় গুলো যত্ন নেয়া যায় সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়।
এই বিশেষ দিবসে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের মানুষ নিজেদের আশেপাশে থাকা জলাশয়ের পানি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। এই কর্ম যজ্ঞের মাধ্যমে অনেক সাধারণ মানুষ এই দিন জানতে পারেন পানিতে থাকা বিভিন্ন উপাদান এবং পিএইচ মাত্রার কথা। সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারেন কোন পানি পানীয়র জন্য একেবারে উপযুক্ত।