পিবিএ,রংপুর: রংপুরে বিয়ের প্রলোভনে এক গৃহবধুকে ৪ বছর ধরে ধর্ষণ করে উজ্জল নামের এক প্রভাবশালী ধর্ষক : অতপর ধষিতা কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেও ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা নেয়নি পুলিশ। ধর্ষিতা গরিব হওয়ায় এক ঘরো করে রেখেছে হিন্দু সম্প্রদায়। নগরীর ধাপ এলাকার আপডেট ক্লিনিকের তিন তলার ৩০২ নং রুমে চিকিৎসা অভাবে নবজাতক নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে প্রসূতি মাতা।
এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগী জানায়, রংপুর সদরের চন্দনপাট ইউনিয়নের সাহবাজপুর গ্রামের মৃত্যু পুলক সরকারের লম্পট পুত্র উজ্জল সরকার নগরীর পালপাড়া এলাকার অপু সরকারের স্ত্রী বাসনা রানীকে বিয়ের প্রলোভনে ৪ বছর ধরে ধর্ষণ করে। অপু সরকার ব্যবসার কাজে ৭ বছর ধরে ভারতে অবস্থান করায় বাসনা রানীকে বিয়ের প্রলোভনে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে রাত্রী যাপন করত ধর্ষক উজ্জল সরকার। ধর্ষণের এক পর্যায়ে বসনা রানী অন্তসত্বা হয়ে পড়লে উজ্জল সরকার বিয়ের কথা বলে বাসনা রানীর কাছ থেকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এর পরেও উজ্জল সরকার বাসনা রানীকে বিয়ে না করে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এতে বাসনা রানী রাজি না হলে তাকে
হত্যা করার জন্য উজ্জল সরকার কুড়িগ্রামে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। হত্যায় ব্যর্থ হয়ে সেখানে রেখে উজ্জল সরকার পালিয়ে আসে। সেখান থেকে উদ্ধারের পরে বাসনা রানী রংপুর কোতয়ালী থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ এ ঘটনা ধর্ষণ নয় বলে মামলা না নিয়ে বাসনা রানীকে ফিরিয়ে দেয়।
এদিকে বাসনা রানী রংপুর কোর্টে মামলা করতে গেলে উজ্জল সরকার কোর্টে উপস্থিত হয়ে বাসনা রাণীকে স্ত্রী স্বীকৃতি দিয়ে সন্তানের দায় নিতে রাজি হয়। কোর্টে উপস্থিত লোকজন এর নিশ্চতা চাইলে উজ্জল সরকার বসনা রানীর সাথে দৈহিক মেলা মেশা এবং তার গর্ভে সন্তানের দায় স্বীকার করে সাদা কাগজে লিখে দেন। এ সময় উজ্জল সরকারের বড় ভাই বিপ্লব সরকার ও ভগ্নিপতি অবসর প্রাপ্ত আঞ্চললিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুবাস চন্দ্র সরকার মিমাংসার কথা বলে উজ্জল সরকারকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে কোর্টেই বাসনা রানীর প্রসব বেদনা উঠলে তাকে লোকজন রংপুর নগরীরর আপডেট ক্লিনিকে ভর্তি করায়। সেখানে বাসনা রানী গত শুক্রবার কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। অর্থাভাবে চিকিৎসা অভাবে মা ও নবজাতক মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বাসনা রানী জানায় রংপুর নগরীর পালপাড়া এলাকার শ্রী অপু চন্দ্র দাসের সাথে পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর গ্রামে সুবাসের কন্যা বাসনা রানীর সাথে ১৪ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে বসনার গর্ভে একটি পুত্র সন্তান হয়। বাসনার স্বামী অপু চন্দ্র দাস ব্যবসার কাজে ৭ বছর ধরে ভারতে অবস্থান করে। এই সুযোগে উজ্জল সরকার বাসনাকে বিয়ের প্রলোভনে ৪ বছর ধরে স্বামী স্ত্রী’র পরিচয়ে (ছদ্দ নামে) আনন্দ নগর, ভিন্নজগৎ স্বপ্নপুরী এবং একাধিকবার রংপুর নগরীর ভাড়াকৃত কট্টিপাড়ার ১নং রোর্ডের ৮৭ নং বাসায় বউকে অনত্র পাঠিয়ে দিয়ে বাসনার সাথে দৈহিক মেলা মেশা করত। এক পর্যায়ে বাসনা গর্ভবর্তী হয়ে পড়লে তাকে বিয়ে করার জন্য উজ্জল বাসনার কাছ থেকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এর পরেও উজ্জল বাসনাকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেয়। এতে বাসনা রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যা করার জন্য উজ্জল কুড়িগ্রামের নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। এদিকে এই ঘটনা সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য উজ্জল সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে কোতয়ালী থানার এস আই মুসফিক পরিচয়ে মোবাইল ফোনে বাসনা রানী ও সাংবাদিকদের হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যাতা থাকলে অবশ্যই মামলা হবে।
পিবিএ/জেডআই