পিবিএ,পেকুয়া (কক্সবাজার): গত কিছুদিনের ভ্যাপসা গরমের পর একপসলা বৃষ্টিতে মানুষ স্বস্তি পেয়েছে। দীর্ঘ গরমের তীব্রতা থেকে মানুষ সামান্য শান্তি পেলেও লবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার মগনামা উজানটিয়া রাজাখালীর লবণ চাষীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

একদিকে লবনের দাম কম অন্যদিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে কৃষকের মাথায় হাত। উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকার লবণচাষী মহসিন জানান, আমরা লবণ মজুদ করে রেখেছিলাম আর মাঠেও অনেক লবণ ছিল গতকালের হঠাৎ বৃষ্টিতে প্রায় অর্ধেক লবণ মিলিয়ে গেছে।
ফলে আমার বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তার মতো রাজাখালীর লবণচাষী জসিম উদ্দিনও একই কথা বলেন এই বৃষ্টিতে তারও অনেক মণ লবণ বৃষ্টির পানিতে মিলিয়ে গেছে। যার ফলে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবে চাষীরা।
জানা যায়, এই তিনটি ইউনিয়নে লক্ষ মণ লবণ উৎপাদন হয় যা দেশের লবনের চাহদা মেঠাতে সাহায্য করে। এ অঞ্চলের মানুষ লবণচাষ নির্ভর তারা প্রতিবছর লবণ চাষ করে জিবিকা নির্বাহ করে। হঠাৎ বৃষ্টিতে তাদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। লবণচাষীদের অভিযোগ বর্তমানে লবণের যে মুল্য তাতে তারা লসের সম্মুখিন হচ্ছে। অন্যদিকে আবার হঠাৎ বৃষ্টি যোগ হয়েছে।
একখানী মাঠ ৫০ হাজার টাকা করে বর্গা নিয়েছেন চাষীরা। তার সাথে যোগ হয়েছে কামলা এ অবস্থায় তারা বিনিয়োগ তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চিন্তিত। এব্যপারে কক্সবাজার লবণচাষী ও লবণশিল্প বাচাঁও আন্দোলনের অন্যতম নেতা ড. আশরাফুল ইসলাম সজীব পিবিএকে বলেন, লবণচাষীদের নায্য দাবী লবণ আমদানী বন্ধ করতে হবে। অবশ্যই কৃষক যেন বাচেঁ সেজন্য লবনের দাম বাড়াতে হবে। কৃষক বাচলে দেশ বাচঁবে বলে তিনি দাবী করেন।
পিবিএ/এস/আরআই