পিবিএ, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পুলিশ পরিচয়দানকারী মো: খলিলুর রহমান মাতুব্বর ওরফে খলিল পুলিশ (৪২) এর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের মো: জব্বার মাতুব্বরের পুত্র। বর্তমানে সে পৌর সদরের কে.এম কলেজ এলাকায় মসজিদ এর পাশে ভাড়া বাসায় স্বপরিবারে বসবাস করেন।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, সম্রতি তার বিরুদ্ধে সোনাখোলা গ্রামের মুন্নু মাতুব্বরের পুত্র সালাউদ্দিন মাতুব্বর (২২) এবং একই গ্রামের মৃত: মোহাম্মাদ ফকিরের পুত্র সামাদ ফকির (২৫) কে গুম করা ও মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের স্বারক নং ৪৪১/এস-২ তারিখ ২২/০১/২০২০ এবং পুলিশ অফিস ফরিদপুর স্বারক নং ২৪৮/ভি তারিখ ৩১/০১/২০২০ ও ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) অফিসের স্বারক নং ১৬৯(২) তারিখ ১০/০২/২০২০ অনুযায়ী জনৈক মুন্নু মাতুব্বর (৫৫) এর আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানীর জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) এর কার্যালয়ে ১৫/০২/২০২০ তারিখ সকাল ১০ টায় হাজির হন। সেখানে খলিল পুলিশ জানান, তিনি বিগত ৪ বছর যাবৎ চাকুরী হতে সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম ট্যুরিষ্ট পুলিশে কর্মরত রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী এ প্রতিনিধিকে জানান, সে অনেক আগে থেকেই মাদক এর সাথে জড়িত এবং নিজে মাদক সেবন করে। এলাকার উঠতি বয়সের যুবকদের মাঝেও সে মাদক ছড়িয়ে দেয়। সে নিজেকে পুলিশের এসআই কখনও এএসআই বলে দাবি করেন এবং বিভিন্ন মানুষকে অহেতুক হয়রানি করে থাকেন। ইতিমধ্যে তার ইয়াবা সেবনের একটি গোপন ভিডিও চিত্র বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ খলিলুর রহমানের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন এবং তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে জানান।
ভ’ক্তভোগীরা ইয়াবা সেবনকারী ও পুলিশ পরিচয়দানকারী খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।
পিবিএ/জেডআই
