পিবিএ,ডেস্ক: ভারতে ফের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো অভিবাসী শ্রমিকদের। এবার দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রায় গেল ২৪ জন শ্রমিকের। আহত হয়েছেন আরো বহু শ্রমিক।
শনিবার ভোর ৩টার দিকে অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য আরেকটি ট্রাকের সাথে। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ঘটে ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে জারি লকডাউনের কারণে ওই শ্রমিকরা নিজেদের বাড়ি থেকে বহু দূরে কাজে এসে আটকে পড়েছিলেন। অনেক দিনের চেষ্টার পর একটি ট্রাকে করে ফেরার বন্দোবস্ত করতে পেরেছিলেন তারা। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হলো না ২৪ জন শ্রমিকের। দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হলো তাদের।
উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনাই প্রথম নয়, এর আগেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ফিরতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে বহু শ্রমিককে। শনিবার ভোররাতের এই ঘটনা সেই সংখ্যা বাড়ালো মাত্র।
জানা গেছে, অভিবাসী শ্রমিকদের ওই দলটি রাজস্থান থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। তাদের মধ্যে ছিলেন বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গেরও শ্রমিক। বহুদিন ধরে ভিনরাজ্যে আটকে থেকে ঘরে ফিরতে মরিয়া হয়েছিলেন তারা। তাই একরকম ঝুঁকি নিয়েই খাবারের প্যাকেট বহনকারী ওই ট্রাকে সওয়ার হয়েছিলেন তারা। উত্তরপ্রদেশের আওরাইয়া জেলায় ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনার স্থান থেকে যে খবর ও ছবি মিলেছে তাতে দেখা গেছে যে, দুর্ঘটনাটি ঘটার পরপরই ওই শ্রমিকদের সহায়তায় ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন। পুলিশের পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করতে হাত লাগান তারাও। আবার এর মধ্যেও দেখা যায় কিছু মানুষ দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই ট্রাক থেকে খাবারের প্যাকেট বের করতে ব্যস্ত।
ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান কানপুরের পুলিশ কমিশনার ও আইজি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তারা।
‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আরাইয়ার দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটির কথা জানতে পেরেছেন। এই দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন সেই অভিবাসী শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন যে, যারা দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাদের সব রকম চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে’, জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এই দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করে একটি বিস্তারিত রিপোর্টও জমা দিতে বলেছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কার্যালয়।
সূত্র : এনডিটিভি
পিবিএ/এএম