
গেল কোরবানির ঈদে আলোচনায় আসে ‘রানি’। বিশ্ব মিডিয়াতেও এর খবর প্রকাশ পায়। অবশেষে রানিকে স্বীকৃতি দিল গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ। তবে গরুটি আর বেঁচে নেই। মৃত্যুর পরই বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর তকমা পেয়েছে রানি।
চলতি বছরের ২ জুলাই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের কাছে রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু দাবি করে আবেদন করে শিকড় এগ্রো কর্তৃপক্ষ। এরপর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিল খর্বাকৃতির গরুটি। কিন্তু ১৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে মারা যায় রানি।
মঙ্গলবার সকালে সাভারের আশুলিয়ায় চারিগ্রাম এলাকার শেকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ খামারেই বেড়ে ওঠে গরুটি। এর আগে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানান তিনি।
শেকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সেলিম বলেন, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ রানির গিনেস বুকে স্থান পাওয়ার সংবাদ নিশ্চিত করে ই-মেইল পাঠিয়েছে। তিনদিন আগে রানিকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়েছে তারা।
তিনি আরো বলেন, তাদের (গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ) কাছে আমরা রানির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম। ওরা মূলত দেখেছে, আমরা হরমোন জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে রানিকে বামন করেছিলাম কি না? কিন্তু প্রতিবেদনে এ ধরনের কোনো কিছুই তারা পায়নি।